যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে হেজ ফান্ড অর্থাত্ সুরক্ষিত তহবিলের ম্যানেজার স্কট বেসেন্টকে মনোনয়ন দেবেন। শুক্রবার রাতের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান তিনি।
কি স্কয়ার ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট হেজ ফান্ডের প্রতিষ্ঠাতা বেসেন্ট (৬২) ১৯৯১ সাল থেকে বিভিন্ন মেয়াদে সোরোস ফান্ড ম্যানেজমেন্টের পক্ষে কাজ করেছেন। নিয়োগ অনুমোদন পেলে তিনিই হবেন দেশটির প্রথম আত্মস্বীকৃত সমকামী অর্থমন্ত্রী। তিনি তহবিল ঘাটতি নিয়ে কাজ করতে সিদ্ধহস্ত এবং বলছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দেনা কমানোর উদ্যোগ নেবেন।
ধনকুবের বেসেন্ট আগে ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন জানালেও সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্পের কড়া সমর্থকে পরিণত হয়েছেন।
ব্লুমবার্গকে আগস্টে তিনি বলেন, “এই নির্বাচনী চক্রেই ইউরোপীয়-ধরনের সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রে পরিণত না হয়েও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পর্বতসম দেনা থেকে বের হয়ে আসার শেষ সুযোগ”।
তিনি ট্রাম্পের কর রেয়াত সম্প্রসারণের পরিকল্পনায় সমর্থন করেন এবং বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় মেয়াদে মূলত চীনের উপরেই বেশিরভাগ শুল্ক আরোপ করা হবে।
এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলছেন, “বিশ্বের প্রথম সারির আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী এবং ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কৌশল বিশেষজ্ঞ হিসাবে স্কটের সুনাম সর্বজনবিদিত।”
আগামী বছর রিপাবলিকানরা সিনেটে ৫৩ বনাম ৪৭ আসনে অগ্রগামী অবস্থানে থাকবে। যদি ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের মনোনীত কোনো মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমন্বিত অবস্থান নেয়, তাহলে রিপাবলিকান শিবিরের চারটি ভোটই সেই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলে যথেষ্ঠ হবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইতিহাস তাদের পক্ষে আছে। ১৯৮৯ সালের পর সিনেট প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে আসা মন্ত্রিসভার কোনো সদস্যের মনোনয়নের বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি। উভয় রাজনৈতিক দল এ ক্ষেত্রে দেশটির প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদগুলোতে সদ্য অভিষিক্ত প্রেসিডেন্টের পছন্দকেই মেনে নিয়েছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি ও রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।