সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা সম্ভব কি না, সেটি যাচাইয়ে কমিটি গঠন করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এমন আশ্বাসের পর মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চলমান আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
এর আগে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম ও শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, ছয়জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ওই আলোচনায় অংশ নেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের একজন মতিউর রহমাকে উদ্ধৃত করে দ্য ডেইলি স্টার বলছে, "আলোচনায় সরকারের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন এবং আমাদের দাবি পর্যালোচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কমিটি অনুসন্ধান করে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে।"
মতিউর রহমান বলেছেন, "আমরা প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছি এবং এ সময়ের জন্য আন্দোলন প্রত্যাহার করছি"।
আলোচনায় দাবির বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটি গঠনের আশ্বাস দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করার দাবিতে 'ক্লোজডাউন তিতুমীর' কর্মসূচি পালন করে, এ সময় মহাখালীর এই এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশ প্রবেশ করায় বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভের মুখে দুপুর পৌনে ১টার দিকে পুলিশ সদস্যরা ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে গেইটের সামনে অবস্থান নেন।
এর আগে সোমবার ঢাকার মহাখালীতে সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে দিনব্যাপী সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছিল কলেজটির শিক্ষার্থীরা।
অবরোধের কারণে সড়কের উভয় পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে। এছাড়া ঢাকার সঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
মহাখালীর এই রাস্তা ধরেই ঢাকার অনেক দূরপাল্লার গাড়ি গাজীপুর, ময়মনসিংহ এবং উত্তরবঙ্গের অনেক জেলায় যাত্রী পরিবহন করে, এই পথ বন্ধ থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।