অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আশাহত হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, "প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে অনেকেই আশান্বিত, তবে আমি আশাহত। আমরা আশা করছিলাম আমরা আশা করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টা তার সমস্ত প্রজ্ঞা দিয়ে, সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে নির্বাচনের একটি রূপরেখা দেবেন।"
মির্জা ফখরুল মনে করেন, "নির্বাচন দিলে অর্ধেক সমস্যার সমস্যার সমাধান হবে।"
তিনি বিএনপির ক্ষমতায় আসা গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন না।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, "আমরা এখন পর্যন্ত কোনো বাধা সৃষ্টি করিনি। বরং আপনাদেরকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনাদেরকে সমর্থন দিচ্ছি।"
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, "আজকে যারা বাংলাদেশের ক্ষতি করতে চাচ্ছে, স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাচ্ছে, বাংলাদেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে, নির্বাচনের একটা রূপরেখা দিলে তারা পিছিয়ে যেতে বাধ্য হবে।"
নির্বাচিত সরকারের পেছনে জনগণের সমর্থন থাকবে বলে মনে করছেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্রদের সাথে দূরত্ব তৈরি করা যাবে না।
১০০ দিন পূর্তিতে ড. মুহম্মদ ইউনূস কী বলেছেন?
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তিতে রবিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস বলেছেন, অব্যাহত রাজনৈতিক সংকট থেকে “দেশকে রক্ষা” করতে নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার অপরিহার্য।
অত্যাবশ্যকীয় কিছু সংস্কার কাজ শেষ করেই কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
“নির্বাচন আয়োজনে যে সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালায় রাজনৈতিক দল এবং দেশের সব মানুষের মতামত অপরিহার্য, সেটি হচ্ছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। এই কমিশনের সুপারিশমালার যে অংশ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, তার ভিত্তিতে নির্বাচনি আইন সংশোধন করতে হবে," তিনি বলেন।
ড. মুহম্মদ ইউনূস "যুগ যুগ ধরে অনুসরণ করার মতো” নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রনয়ণ করার কথা বলেন।