বৃহস্পতিবার গাজা ও লেবাননে লড়াই অব্যাহত ছিল। এর মধ্যেই হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বারবার বাস্তুচ্যুত ও বেসামরিক নাগরিকদের স্থানান্তরিত করেছে। তারা ‘জোরপূর্বক স্থানান্তরের যুদ্ধাপরাধ করেছেন’ এবং যেসব এলাকায় ফিলিস্তিনিরা ফিরে যেতে পারবে না সেসব এলাকায় ‘জাতিগত নির্মূলের সংজ্ঞাও পূরণ করছে বলে মনে হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দেখেছে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে এবং প্রমাণ দেখা গেছে যে, এটি নিয়মতান্ত্রিক এবং রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ। এ ধরনের কর্মকাণ্ড মানবতাবিরোধী অপরাধও বটে।”
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি, তবে এর আগে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলেছিল, তাদের সামরিক পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইন মেনেই করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
সশস্ত্র সংঘাতের আইন বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য বা অপরিহার্য সামরিক কারণে প্রয়োজন না হলে অধিকৃত অঞ্চল থেকে বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা নিষিদ্ধ করে।
ইসরায়েল বলেছে, বেসামরিক নাগরিকদের যুদ্ধ থেকে নিরাপদ রাখতে বা সামরিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাস্তুচ্যুতি জরুরি।
ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা জানায়, গাজার উত্তরাঞ্চলে ছয়জন নিহত হয়, তার মধ্যে একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশু নিহত হয়েছে
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, হিজবুল্লাহর ঘাঁটির কিছু অংশ খালি করতে ইসরায়েলি হুঁশিয়ারির পর বৃহস্পতিবার বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলিতে বিমান হামলা চালানো হয়।
হামলার কিছুক্ষণ আগে ইসরায়েলের বাসিন্দাদের বাড়িঘর ছেঁড়ে চলে যাওয়ার জন্য সতর্কতা জারি করেছিল।
বৃহস্পতিবার টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে এক পোস্টে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, বিমান বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে ১৪০টির বেশি হিজবুল্লাহর লঞ্চার ধ্বংস করেছে এবং দুই ব্যাটালিয়ন কমান্ডার ও এক কোম্পানি কমান্ডারকে হত্যা করেছে।
বুধবার লেবানন সীমান্তের কাছে সংঘর্ষে ছয়জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।