ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বুধবার পূর্ব লেবাননের বেকা উপত্যকার কিছু অংশ থেকে লোকজন সরিয়ে নেওয়ার জন্য নতুন করে সতর্কতা জারি করেছে। হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে সামরিক হামলার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, বালবেক, আইন বুরডে ও দৌরিসের লোকজনকে তাদের বাড়িঘর খালি করে চলে যেতে হবে। ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত থেকে হিজবুল্লাহকে পিছু হঠাতে সেখানে বিমান হামলা চালাচ্ছে তারা।
গাজা ভূখণ্ডে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে একই পদ্ধতি ব্যবহার করেছে ইসরায়েল। জাতিসংঘের কর্মকর্তা এবং মানবিক সংস্থাগুলি তাদের সরিয়ে নেওয়ার আদেশের সমালোচনা করে বলেছে, বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেবার জন্য এটা খুবই অপর্যাপ্ত সময়। তাছাড়া, এই যুদ্ধের মধ্যে অন্য কোথাও যাওয়াও নিরাপদ নয়।
চলমান পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চিঠি লিখেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এতে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সমর্থন করার জন্য জাতিসংঘের প্রধান সংস্থাকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে ইসরায়েলের নতুন আইন নিয়ে তার উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
মুখপাত্র স্টিফান দুজারিক মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, "জাতিসংঘের মহাসচিব অল্প সময় আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন নিয়ে তার উদ্বেগের বিষয়টি জানিয়েছেন।" দুজারিক ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে সোমবার পাস হওয়া দুইটি বিল প্রসঙ্গে এ কথা বলেন
গুতেরেস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতিকেও চিঠি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুজারিক। ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ পরিষদে ইউএনআরডব্লিউএ গঠন করা হয়েছিল। এর আগে গুতেরেস ৯০ দিনের মধ্যে কার্যকর হওয়া দুটি আইনের সমালোচনা করে বলেছিলেন যে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য এটি "ধ্বংসাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে"।
গুতেরেস আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে বাধ্যবাধকতা বজায় রাখার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, জাতীয় আইন এই বাধ্যবাধকতাকে অস্বীকার করতে পারে না।
মঙ্গলবারও ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তর গাজার একটি পাঁচতলা আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে। বেইত লাহিয়ায় হামলার পর নিখোঁজ রয়েছেন আরও ২৩ জন। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফা হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা প্রথম হামলার বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। তবে দ্বিতীয় হামলার বিষয়ে তারা কোনো মন্তব্য করেনি।