ইউরেশীয় দেশগুলোর সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার নেতারা আঞ্চলিক নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়ন সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার পাকিস্তানে দু’দিনের বৈঠকে জড়ো হয়েছেন।
কর্তৃপক্ষ এসসিও সমাবেশের জন্য ইসলামাবাদকে নিরাপত্তা অবরোধে রেখেছে; সাম্প্রতিক মারাত্মক জঙ্গি হামলার কারণে হাই-প্রোফাইল এই অনুষ্ঠানটিতে সুরক্ষার জন্য পাকিস্তানের রাজধানী ও এর আশেপাশে সেনাসহ হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেছে।
নিরাপত্তা, রাজনীতি ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে পশ্চিমা জোটের সাথে ভারসাম্য রক্ষার উপায় হিসেবে চীন ও রাশিয়া ২০০১ সালে এসসিও প্রতিষ্ঠা করে। এই ১০ রাষ্ট্রের অন্য সদস্যরা হলো, বেলারুশ, কাজাখাস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, পাকিস্তান, ভারত ও ইরান।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর এবং ইরানের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এই সম্মেলনে নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। গত এক দশকের মধ্যে জয়শঙ্করই প্রথম ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী যিনি ইসলামাবাদ সফরে গেলেন।
পাকিস্তান ও ভারত উভয় দেশই জয়শঙ্করের সফরের সময় দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে। তারা জোর দিয়ে বলেছে, এসসিও একটি “বহুপাক্ষিক” বৈঠক, এবং কোনো পক্ষই এ জাতীয় বৈঠকের অনুরোধ করেনি।
কর্মকর্তারা জানান, শরীফ মঙ্গলবার এসসিও প্রতিনিধিদের জন্য একটি স্বাগত নৈশভোজের আয়োজন করবেন। বুধবার সকালে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হবে।
সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী লি অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে এসসিও’র ‘বাস্তবোচিত সহযোগিতা’ এগিয়ে নিতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর নেতাদের সাথে ‘গভীর মতবিনিময়’ করবেন।
বিশ্লেষকরা সন্দিহান যে এসসিও বৈঠকগুলো সদস্য দেশগুলোর সমাধান করতে পারে এমন ফলাফল তৈরি করেছে কিনা যা নেটো বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো পশ্চিমা জোটগুলো সদস্যদের পারস্পরিক প্রতিরক্ষা এবং অর্থনৈতিক সংহতির মতো সুযোগ-সুবিধা দেয়।
মঙ্গলবার পাকিস্তানে এসসিও বৈঠককে ঘিরে নিরাপত্তা উদ্বেগ দেশটিতে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা বৃদ্ধির কারণে উদ্ভূত হয়েছে। তবে প্রাণঘাতী সহিংসতায় প্রাথমিকভাবে আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোওয়া প্রদেশে প্রভাব পড়েছে।