হিজবুল্লাহর উপ-প্রধান নাঈম কাশেম মঙ্গলবার বলেছেন, সংগঠনটি লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ক্রমশ বাড়তে থাকা সংঘাত নিরসনে যুদ্ধবিরতির উদ্যোগকে সমর্থন করে।
টেলিভিশনে প্রচারিত মন্তব্যে কাশেম পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরির যুদ্ধ বন্ধ করার উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন। অপরদিকে, মঙ্গলবার ইসরায়েল দক্ষিণ-পশ্চিম লেবাননে নতুন করে স্থল অভিযান শুরু করার ও বৈরুতের দাহিয়েহ এলাকায় বিমান হামলা অব্যাহত রাখার বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছে।
কাশেম মঙ্গলবার আরও জানান, হিজবুল্লাহ সুসংহত অবস্থায় আছে এবং “বেদনাদায়ক আঘাত” কাটিয়ে উঠেছে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছেন, লেবাননে ইসরায়েলের অভিযানের উদ্দেশ্য হিজবুল্লাহর জঙ্গিদের সীমান্ত এলাকা থেকে পিছু হটতে বাধ্য করা। ইসরায়েলের নতুন স্থল হামলার ঘোষণায় এই অভিযানের সম্প্রসারণ ঘটেছে।
৩০ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পর নতুন উদ্যোগকে দেশটি “সীমিত, স্থানীয় ও নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযান” হিসেবে অভিহিত করেছে।
মঙ্গলবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, বিমান হামলায় জ্যেষ্ঠ হিজবুল্লাহ কমান্ডার সুহাইল হুসেইনি নিহত হয়েছেন। তিনি ইরান থেকে লেবানন-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনটির কাছে অস্ত্র পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
১০ দিন আগেই ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হন। সে সময় থেকেই লেবাননের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান দ্রুত বিস্তৃত হচ্ছে।
হিজবুল্লাহ বলছে তারা মঙ্গলবার ইসরায়েলি শহর হাইফা অভিমুখে রকেট হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল বলছে তারা লেবানন থেকে আসা বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে।
চলমান সংঘাতে অনেক দেশের সরকারকে তাদের নাগরিকদের লেবানন থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য করেছে। তুরস্ক বলছে তারা বৈরুত থেকে তাদের দুই হাজার নাগরিককে সরিয়ে নিতে নৌবাহিনীর দুইটি জাহাজ পাঠাচ্ছে। বুধবার থেকে তাদেরকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হবে।
যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার বলছে, তারা পররাষ্ট্র দপ্তরের সহায়তায় দুইটি ফ্লাইটের মাধ্যমে বৈরুত থেকে ১৮০জন নাগরিককে ইস্তাম্বুলে সরিয়ে নিয়েছে।
জাতিসংঘে ভয়েস অফ আমেরিকার সংবাদদাতা মার্গারেট বেশির ও ভয়েস অফ আমেরিকার প্রতিবেদক নাতাশা মোজগোভায়া এই প্রতিবেদনে অবদান রেখেছেন। প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি ও রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।