অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

গাজায় যুদ্ধ থামানো ‘জরুরি অগ্রাধিকার’, বলছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান


গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়াতে সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষরা আশ্রয় নিয়েছে। একটি কিশোর এমনই এক শিবিরের ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের পাশ দিয়ে রোলার-ব্লেড চালিয়ে যাচ্ছে। ফটোঃ ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪।
গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়াতে সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষরা আশ্রয় নিয়েছে। একটি কিশোর এমনই এক শিবিরের ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের পাশ দিয়ে রোলার-ব্লেড চালিয়ে যাচ্ছে। ফটোঃ ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক সোমবার বলেছেন, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করা “এবং বৃহৎ আঞ্চলিক সংঘাত ঠেকানো চূড়ান্ত ও জরুরি অগ্রাধিকার।”

জেনেভায় মানবাধিকার পরিষদের এক অধিবেশনে তুর্ক বলেছেন, “আমরা জানি, যুদ্ধ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভিতরে ও বাইরে ছড়িয়ে পড়ছে। তাদের সমস্যাগুলি যদি সমাধান করা না হয় তাহলে ঘৃণার চক্র ঘুরতেই থাকবে। দুঃখের বিষয় হল, গাজার যুদ্ধ এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।”

ইসরায়েলের উপর হামাসের “ভয়াবহ” হামলা, ১৯ লক্ষ গাজাবাসীর বলপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, গাজায় এখনও ১০১ জন ইসরায়েলির পণবন্দি হয়ে থাকা এবং পশ্চিম তীরে “প্রাণঘাতি ও ধ্বংসাত্মক অভিযানে”র প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন তুর্ক। তিনি বলেন, এগুলি “বিপর্যয়কর পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে।”

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী সোমবার জানিয়েছে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে রাতের মধ্যে তারা একাধিক ভবন ও হেজবুল্লাহ জঙ্গিদের দ্বারা ব্যবহৃত একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। দুই পক্ষের সর্বশেষ আন্তঃসীমান্ত সংঘর্ষ বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতের উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে।

সিরিয়ার সরকারি সংবাদ মাধ্যম সোমবার বলেছে, একাধিক বিমান হামলার ফলে সে দেশে অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও ৪০ জন আহত হয়েছে। এই হামলা ইসরায়েল চালিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলে সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রবিবার গাজায় হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন। এই সংঘাত বারোতম মাসে পা দিলো। তিনি বলেছেন, তার দেশ “ইরানের অশুভ অক্ষের নেতৃত্বে খুনি মতাদর্শের দ্বারা বেষ্টিত।”

যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশর যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের প্রত্যাবর্তনের মধ্যস্থতার চেষ্টায় কয়েক মাস অতিবাহিত করেছে, তবে এই সমঝোতা বারবার আটকে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

XS
SM
MD
LG