অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের ঘোষণা


নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪।
নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাস পর বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবীব খান ও মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। অন্য দুই কমিশনার রাশেদা সুলতানা ও মো. আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন না।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, “এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমি ও অন্য কমিশনাররা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর জন্য ইসি সচিবের কাছে হস্তান্তর করছি।”

সংবাদ সম্মেলন চলাকালে নির্বাচন ভবনের বাইরে কিছু লোক বিক্ষোভ করেন। তারা হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেয়। এ সময় নির্বাচন ভবনের ভেতরে–বাইরে সেনাসদস্যরা অবস্থান করছিল।

উল্লেখ্য, ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ অগাস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিসহ আপিলেট ডিভিশনের কয়েকজন বিচারপতি এবং সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা অনেকে পদত্যাগ করেন। বৃহস্পতিবার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন পদত্যাগের ঘোষণা দিল।

এর আগে ২৪ অগাস্ট একটি বাংলা দৈনিকে লেখা এক নিবন্ধে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল দাবি করেন, বিপ্লব পরবর্তী সফল সাংবিধানিক পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচন কমিশন সংকটে রয়েছে।

এ বছরের ৭ জানুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। টানা চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ তৈরি করে দেওয়া একতরফা সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করে বিএনপি ও অন্য রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহলের তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হয় কমিশন।

এই কমিশনের অধীনে হওয়া স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়েও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রশ্ন তুলেছিল।

২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে এবং সাবেক জেলা ও দায়রা জজ রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, সাবেক সচিব মো. আলমগীর ও আনিসুর রহমান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

প্রথমবারের মতো সার্চ কমিটির মাধ্যমে সংবিধানের বাধ্যবাধকতামূলক আইনের আওতায় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়। সার্চ কমিটি বিশিষ্ট নাগরিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে পদগুলোর জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে নাম চেয়েছিল।

আওয়ামী লীগসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নাম দিলেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)সহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল সার্চ কমিটির কাছে কারও নাম পাঠায়নি।

XS
SM
MD
LG