অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে আশ্বাস দেয়ার পর চিকিৎসকরা সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা পর্যন্ত শাটডাউন স্থগিতের ঘোষণা করছেন।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনে এক ব্রিফিংয়ে এই আশ্বাস দেন উপদেষ্টা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) চিকিৎসকদের মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনায় উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের হাসপাতালসহ দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাজ বন্ধ ঘোষণা করেন চিকিৎসক, ইন্টার্ন ও মেডিকেল শিক্ষার্থীরা।
চিকিৎসকদের ওপর হামলা, ভাঙচুর এবং চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ছাত্রর মৃত্যু নিয়ে মারধর
শনিবার রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার আহসানুল হক দীপ্ত (২৩) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) ছাত্র ছিলেন।
ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে ঢামেকের এক চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঢামেকে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করে।
এছাড়াও, গতকাল খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হলে ওই ঘটনায় আহত এক গ্রুপ চিকিৎসা নিতে ঢাকা মেডিকেলে আসে। পরে অন্য গ্রুপ ধারালো অস্ত্র নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভেতরে ঢুকে হামলা করে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়।
একপর্যায়ে চারজনকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ঢামেক পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া।
একই সময়ে, বিষপানে প্রায় একজন লোক চিকিৎসা নিতে জরুরি বিভাগে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এর প্রতিক্রিয়ায় জরুরি বিভাগের কক্ষ ভাঙচুর করে রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা।
এসব ঘটনার কারণে দায়িত্ব পালনের সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান কর্মবিরতিতে থাকা ইন্টার্ন চিকিৎসক ও চিকিৎসকরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের ওপর বারবার হামলা হওয়ায় নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতিতে আছেন চিকিৎসক ও কর্মচারীরা।