রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় যে ইরানি হ্যাকাররা আক্রমণ চালায়, তারা মোবাইল ফোনে নজরদারি সফটওয়্যার বসানোর জন্য পরিচিত। গ্রুপটিকে অনুসরণ করে এমন গবেষক এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সফটওয়্যারগুলো ভুক্তভোগীদের কল রেকর্ড করতে, টেক্সট চুরি করতে এবং নীরবে ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন চালু করতে সক্ষম।
সাইবার সিকিউরিটি রিসার্চ কমিউনিটির কাছে এপিটি৪২ বা চার্মিংকিটেন নামে পরিচিত অভিযুক্ত ইরানি হ্যাকাররা ইরানের সামরিক বাহিনীর ভেতরে একটি গোয়েন্দা বিভাগ, যা ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের গোয়েন্দা সংস্থা বা আইআরজিসি-আইও নামে পরিচিত, সেটির সাথে জড়িত বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হয়। সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে, ওয়াশিংটন এবং ইসরায়েলের অতি-মূল্যবান লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে তাদের আক্রমণাত্মক গুপ্তচরবৃত্তি পদ্ধতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে তাদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী মিশনের একজন মুখপাত্র এক ইমেইলে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার কোনো অভিপ্রায় বা উদ্দেশ্য ইরান সরকারের নেই।”
ট্রাম্পের মুখপাত্ররা বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান রিপাবলিকান প্রার্থীকে ইরান লক্ষ্যবস্তু করেছে, কারণ তারা তেহরানের প্রতি ট্রাম্পের নীতির বিরোধিতা করে।
মার্চ মাসে রেকর্ডেড ফিউচার বিশ্লেষকরা ইরান ইন্টারন্যাশনাল নামে যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক মিডিয়া গ্রুপের বিরুদ্ধে এপিটি৪২ দ্বারা হ্যাকিং-এর প্রচেষ্টা আবিষ্কার করেছিলেন। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ ইতোপূর্বে বলেছিল যে ইরান ইন্টারন্যাশনাল ইরান সম্পর্কিত এজেন্টদের দ্বারা শারীরিক সহিংসতা এবং সন্ত্রাসী হুমকির লক্ষ্যবস্তু ছিল
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ট্রাম্পের প্রচারণা কর্মকর্তারা কর্মীদের তথ্য নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। বার্তাটির সাথে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি তা জানান। গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, বার্তায় সতর্ক করা হয়েছে যে, সেল ফোনগুলো অন্যান্য ডিভাইসের চেয়ে অধিকতর সুরক্ষিত নয় এবং সেলফোন দুর্বলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির সেই অনুরোধে সাড়া দেয়নি। এফবিআই এবং জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের কার্যালয় উভয়েই মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।