অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী পদে মনোনীত করতে ডেমোক্র্যাটরা ভোট দিতে শুরু করেছেন


যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস এক প্রচার সভায় বক্তব্য রাখছেন। আটলান্টা, জর্জিয়া। ফটোঃ ৩০ জুলাই, ২০২৪।
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস এক প্রচার সভায় বক্তব্য রাখছেন। আটলান্টা, জর্জিয়া। ফটোঃ ৩০ জুলাই, ২০২৪।

যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটরা ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসকে তাদের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্সিয়াল প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করতে বৃহস্পতিবার ভোট দেওয়া শুরু করেছেন। নভেম্বরে সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ময়দানে নামতে চলেছেন হ্যারিস।

শিকাগোতে ১৯ থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত ডেমোক্র্যাট দলের চার দিনের জাতীয় কনভেনশনের আগে পাঁচ দিনব্যাপী ইলেক্ট্রনিক ভোটের শুরুতে হ্যারিসকে সমর্থন জানিয়ে প্রায় ৪ হাজার ডেমোক্র্যাট কর্মী ও রাজনীতিক স্বাক্ষর পাঠিয়েছেন।

হ্যারিস আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তার ভাইস প্রেসিডেন্সিয়াল ঘনিষ্ঠতম রাজনৈতিক সহযোগীর (রানিং মেট) নাম ঘোষণা করবেন এবং তারপর রাজনৈতিক রণক্ষেত্র হয়ে ওঠা কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে তিনি ধারাবাহিকভাবে সভা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হতে গেলে এই সব প্রদেশগুলিতে জয়লাভ করতে হবে।

চলতি বছরের শুরুতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে প্রার্থী হিসাবে পুনর্নির্বাচনে মনোনয়নের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন রাজ্যে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারি নির্বাচন ও ককাসগুলিতে এদের বাছাই করা হয়েছিল, যারা হ্যারিসকে ভোট দিচ্ছেন।

তবে, জুন মাসে শেষ দিকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিতর্কসভায় হোঁচট খাওয়ার পর ৮১ বছর বয়সী বাইডেন যখন তার প্রচারণা বন্ধ করে দেন ও ৫৯ বছর বয়সী হ্যারিসকে সমর্থন করেন তখন ডেমোক্রেটিক দলের সমর্থক ও অনুগামীরা দ্রুত হ্যারিসের প্রার্থিতা সামনে রেখে একজোট হন। প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়নের জন্য হ্যারিসকে চ্যালেঞ্জ জানাতে উল্লেখযোগ্য কোনও ব্যক্তি এগিয়ে আসেননি।

ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হ্যারিস প্রতিনিধিদলের ৯৯ শতাংশের সমর্থন লাভ করেছেন। দলের মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় এই প্রতিনিধিরা একাধিক পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন। উল্লেখ্য, মনোনীত হতে গেলে ৩০০টি স্বাক্ষর প্রয়োজন, কিন্তু অন্য কেউ এই সংখ্যক স্বাক্ষর পাননি যাতে তারা যোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন।

জাতীয় দলের চেয়ার জেইমে হ্যারিসন বলেছেন, “আগামী দিনে ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিসের পক্ষে ইতিহাস সৃষ্টিকারী ভোট দেওয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও সুযোগ রয়েছে আমাদের প্রতিনিধিদের। এই নভেম্বরে প্রতিটি প্রদেশে ব্যালটে তিনি থাকবেন, তা নিশ্চিত।”

তিনি আরও বলেন, “স্বচ্ছ, গণতান্ত্রিক ও সুশৃঙ্খল প্রক্রিয়ায় প্রমাণিত রেকর্ড সম্বলিত একজন নমিনির পিছনে একত্রিত হতে আমাদের দল এই নজিরিবিহীন মুহুর্তে হাজির হয়েছে। আগামী লড়াইতে এই নমিনি আমাদের নেতৃত্ব দেবেন।

হ্যারিস হবেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও দক্ষিণ এশীয় নারী যিনি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বড় দলের প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন পাবেন।

৫ নভেম্বরের নির্বাচন। হাতে একশো দিনেরও কম সময়। গোটা যুক্তরাষ্ট্র ও প্রধান অঙ্গরাজ্যগুলিতে দেখা যাচ্ছে, হ্যারিস ও ট্রাম্প এক হাড্ডাহাড্ডি নির্বাচনী প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে চলেছেন।

XS
SM
MD
LG