কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর কোনো গণগ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক সভা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
“আমরা কোনো নিরাপদ মানুষকে গ্রেপ্তার করছি না। তথ্য ও প্রমাণ সাপেক্ষে যাদের শনাক্ত করতে পেরেছি, তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করবো না;” যোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
“আমরা কোনো গণগ্রেপ্তার করছি না;” আরো বলেন তিনি। জানান, এমন কোনো জেলা নেই যেখানে ধ্বংস বা নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়নি।
বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, ২১ জুলাই পর্যন্ত যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর তদন্ত করবে এই কমিশন।
“যেহেতু এর পরিধি, অনুসন্ধান ও তদন্তের পরিসর বেড়ে গেছে, তাই চিন্তা করছি, তদন্ত কমিশনের সদস্য একজন থেকে বাড়ানো যায় কিনা। তিনজন করার সিদ্ধান্ত হয়ত খুবই শিগগিরই নিতে পারি;” আরো জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২৯ জুলাই পর্যন্ত ঢাকায় গ্রেফতার ২,৮২২ জন
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট সহিংসতায়, সোমবার (২৯ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ২ হাজার ৮২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ।
ডিএমপির সহকারী কমিশনার (এসি-মিডিয়া) জাহাঙ্গীর কবির এ কথা জানান। তিনি বলেন, এ নিয়ে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় মোট ২৪৩টি মামলা রেকর্ড হয়েছে। আর, সাম্প্রতিক সহিংসতায় ঢাকায় মোট ২ হাজার ৮২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গ্রেফতার নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিক সোমবার (২৯ জুলাই) বলেছেন, জাতিসংঘ মহাসচিব সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলন ঘিরে হাজার হাজার যুবক এবং বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের গ্রেফতারের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ডুজারিক বলেন, অ্যান্তনি গুতেরেস নতুন করে ছাত্র বিক্ষোভের খবর পেয়েছেন এবং শান্তি ও সংযমের জন্য পুনরায় আহবান জানিয়েছেন।
“মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মাত্রারিক্ত শক্তি প্রয়োগের খবরে তিনি শঙ্কিত,” ডুজারিক বলেন। “তিনি সকল সহিংস ঘটনার দ্রুত, স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার ডাক পুনরায় ব্যক্ত করেছেন।"