জো বাইডেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে কমালা হ্যারিসকে সমর্থন করেছেন। এর মাধ্যমে তিনিই হবেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী এবং দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত প্রথম ব্যক্তি। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে কমালা হ্যারিস দেশের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রবিবার ২০২৪ সালের রাষ্ট্রপতি দৌড় থেকে বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পরে, তিনি মনোনয়নের প্রধান প্রতিযোগী হয়ে ওঠেন।
ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে কমালা হ্যারিসকে ভোটারদের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং নীতির ব্যাপারে সমর্থন পেতে বেগ পেতে হয়েছে । ২০২০ সালে প্রথম নারী হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হওয়ার পাশাপাশি এশিয়ান বংশোদ্ভূত ও প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে তিনি এই পদে অধিষ্ঠিত হন।
ভবিষ্যতে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতৃত্ব দিতে পারেন এমন প্রত্যাশা নিয়ে তিনি ঐ দায়িত্ব নেন।
তার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বগুলোর মধ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে অভিবাসনের মূল কারণগুলি সমাধান করা এবং হন্ডুরাস, এল সালভাদর এবং গুয়াতেমালার অবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করা। ফলে অভিবাসন কেন্দ্রিক রাজনৈতিক ইস্যুতে তিনি সামনের সারিতে চলে আসেন।
কমালা হ্যারিস ভোটাধিকার আইন পাস এবং ব্যাপক নির্বাচনী সংস্কারের জন্য বাইডেন প্রশাসনের তদারকির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নারীর মৌলিক অধিকার গর্ভপাতের সুযোগ এবং বন্দুক নিরাপত্তার মতো ইস্যুতে তার অগ্রগতিকে সমর্থন করেছেন তার সমর্থকরা।
নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বয়স হবে ৮২ বছর। ফলে অধিকাংশ সদস্যই তাকে আরেক মেয়াদের জন্য অনেক বেশি বয়স্ক মনে করেন। ২৭ জুনের প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে দুর্বল পারফরম্যান্সের পর কিছু ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা ও সদস্য তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। এর প্রায় একমাস পর তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে হ্যারিসকে সমর্থন দেন।