অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহারের দাবি মির্জা ফখরুলের
অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (২০ জুলাই) দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি সেনাবাহিনীকে আওয়ামীলীগের 'নিজের দুস্কর্মের' অংশীদার না করার আহ্বান ও কারফিউ তুলে নেয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি তিনি সরকারের পদত্যাগ, কোটা সংস্কার ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনে দেশবাসীকে অংশগ্রহণ করারও আহ্বান জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলেছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর ক্রমবর্ধমান নাগরিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের জন্য তাদের ভ্রমণ অ্যাডভাইসরি, লেভেল ৪-এ উন্নীত করেছে যেখানে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলেছে। তাদের ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে...
স্টেট ডিপার্টমেন্ট তাদের বিবৃতিতে বলেছে, "ঢাকায় চলমান নাগরিক অস্থিরতার কারণে যাত্রীদের বাংলাদেশে ভ্রমণ করা উচিত নয়। ঢাকা শহর, এর পার্শ্ববর্তী এলাকা এবং সারা বাংলাদেশে বিক্ষোভ ও সহিংস সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।"
"নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে, রুটিন কনস্যুলার পরিষেবাগুলির বিধানে বিলম্ব হতে পারে," বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট আরও বলেছে যে নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মীরা কিছু চলাচল এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছেন, যা বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জরুরি পরিষেবা প্রদান সীমিত করতে পারে।
কোটা আইনের শুনানি শুরু হচ্ছে
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য রবিবার (২১ জুলাই) দিন ধার্য করেছেন চেম্বার আদালত। সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি সকাল ১০টায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
হাইকোর্টের রায়ের বাতিল চাইবে রাষ্ট্রপক্ষ, বলেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুদ্দিন মানিক।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত কোটাপদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন চাকরিপ্রত্যাশী ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেয়। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে এ বছরের ৫ জুন রায় দেয় হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন চেম্বার আদালত হয়ে ৪ জুলাই আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আসে। রিট আবেদনকারী পক্ষের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন আপিল বিভাগ নট টুডে (৪ জুলাই নয়) বলে আদেশ দেয়। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয়।
এ অবস্থায় কোটা পুনর্বহালসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থী ৯ জুলাই আবেদন করেন। দুই শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন শুনানির জন্য ১০ জুলাই আপিল বিভাগে ওঠে। শুনানি শেষে স্থিতাবস্থার আদেশ দেয় আপিল বিভাগ।
(এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য ইউএনবি থেকে নেওয়া হয়েছে।)
বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ১০০০-এরও বেশি ভারতীয় শিক্ষার্থি ফিরে এসেছে, বলছে ভারত সরকার
চলমান অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ১০০০-এরও বেশি শিক্ষার্থি এরই মধ্যে বিমান ও স্থলপথে ভারতে ফিরে গেছেন বলে ভারত সরকার, শনিবার (২০ জুলাই) জানিয়েছে।
ভারত সরকার আরও জানিয়েছে, অনুরোধের ভিত্তিতে বাংলাদেশে অধ্যয়নরত নেপাল ও ভুটানের শিক্ষার্থিদেরও তারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে সাহায্য করেছে।
বাংলাদেশস্থ ভারতীয় দূতাবাস এখনও বাংলাদেশে রয়ে যাওয়া প্রায় ৪,০০০ শিক্ষার্থির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে, বলে বলছে ভারতের পররাষ্ট্র দফতর।