ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হলেও সেবার মান নগন্য
এখনও পুরোমাত্রায় ঢাকায় ইন্টারনেট সেবা চালু হয়নি।
গত দুদিন ঢাকার কিছু-কিছু এলাকায় পরীক্ষায়মূলক ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হলেও সেবার মান খুবই নগন্য। আর ১৮ জুলাইয়ের পর এখন বন্ধ রয়েছে মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট সেবা।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “এখন পুরোমাত্রায় আমরা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিতে পারিনি। কারণ সাবমেরিন ক্যাবলসহ অন্যানগুলো চালু হচ্ছে। এই কারণে এটা করতে সময় লাগছে।”
তিনি আরও বলেন, “যার ফলে এখন কিছু জায়গায় গতি নেই, কিছু জায়গায় সার্ভার ডাউন, কিছু জায়গায় এখন পুরোপুরি অপারেশনে যেতে পারছে না। সরকারের দিক থেকে ৭ হাজারের মতো জিপিএস ওপেন করে দিয়েছে। কিন্তু ভোক্তরা ২ থেকে ৩ হাজারের বেশি পাচ্ছে না লাইন খারাপ থাকার কারণে।”
যানজট: ভোগান্তিতে ঢাকাবাসী
ঢাকায় ৬ ঘন্টা কারফিউ শিথিলের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর অধিকাংশ সড়কে যানজট ছিল।
মেট্রোরেলের পাশাপাশি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ঢাকার প্রধান সড়কগুলোতে গাড়ির চাপ ছিল দ্বিগুণ। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে অফিসগামী মানুষকে। যানজটের পাশাপাশি গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ বেশি গরমেও বাড়তি ভোগান্তি পড়েছিল রাজধানীবাসী।
ওদিকে গত কয়েকদিন ঢাকা ও বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে, বাজারে জিনিসপত্রের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।
গতকালের ন্যায় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ঢাকায় কারফিউ শিথিল ছিল বেলা ১১ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত।
রাজধানীবাসী বলছেন, গত ১৮ জুলাই থেকে মেট্রোরেল ও ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। যার কারণে মানুষের এখন একমাত্র ভরসা হচ্ছে যানবাহন। তাই অন্যান্য সময় তুলনায় যানবাহনে মানুষের অধিক চাপ পড়েছে। আবার কারফিউর কারণে নির্ধারিত সময়ে মানুষকে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করতে গিয়ে একই সময়ে সবাইকে বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হচ্ছে। এতে করে রাস্তায় অতিরিক্ত গাড়ির চাপ বাড়ায় সড়কে যানজটও বাড়ছে।
মেট্রোরেলের সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ দিনে গড়ে ৩ লাখ ৪০ হাজারের মতো যাত্রী চলাচল করতো। আর বিভিন্ন ছুটি ও উৎসবের দিনে সেটা আরও ১০ থেকে ১২ হাজার বেশি হতো। এখন মেট্রোরেল বন্ধ থাকায় এই যাত্রীদের গাড়িতে করে চলাচল করতে হচ্ছে।
এমআরটি ৬ এর উপপরিচালক তরফদার মাহমুদুর রহমান ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “সর্বশেষ রেকর্ড অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে মেট্রোতে করে ৩ লাখ ৪০ হাজারের মতো যাত্রী সেবা নিতো। সেটা কখনও কম-বেশি হয়ে থাকে।”
কবে থেকে আবার মেট্রোরেল চালু হবে তা জানতে চাইলে তরফদার মাহমুদুর বলেন, "এটা আমার জানা নেই।"
মেট্রোরেলের পাশাপাশি ঢাকা থেকে নারায়নগঞ্জ ও ঢাকা থেকে গাজীপুরের জয়দেব পুর পর্যন্ত দুইটি লোকাল ট্রেন চলতো। কিন্তু তা বন্ধ রয়েছে গত ১৮ জুলাই থেকে। যার কারণে এসব এলাকার মানুষ এখন গাড়িতে করে ঢাকায় আসতে হচ্ছে।
ঢাকা রেলওয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তা নাহিদ খান ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “আসলে ট্রেন চালুর বিষয়টি পুরোপুরি নিরাপত্তার ওপর নির্ভর করছে। ফলে, সময় ও তারিখ নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল কবে থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।”
ঢাকার বাংলামোটর মোড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সাইফুল বলেন, “গত দুই দিন ধরে অফিস শুরু এবং শেষ হওয়ার পরই রাস্তায় গাড়ির ব্যাপক চাপ থাকছে। কারণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মানুষকে কাজে যেতে হচ্ছে আবার বাসায় ফিরতে হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আগে মিরপুর, উত্তরাসহ আশপাশের এলাকার মানুষরা মেট্রোরেলের চলাচল করতো। এখন সেটি বন্ধ থাকার তাদেরকে গাড়িতে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে বাড়তি যাত্রী কারণে রাস্তায় বাড়তি যানবাহন নামছে। তাই অন্যান্য সময়ের তুলনায় রাস্তায় যানজট বেশি। তবে সেটি সন্ধ্যার মধ্যেই কেটে যায়।”
এখন পর্যন্ত ঢাকায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে ২২০৯ জনকে, র্যাব ২৮৩ জন
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকারি স্থাপনায় ভাংচুর, সহিংসতা ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাব সারাদেশে অভিযান চালিয়ে ২২৮ জনকে গ্রেফতার করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) র্যাবের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
একইভাবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কে এন রায় জানান, ভাঙচুর, সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় ২০১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ২২০৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি।
আর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী তারেক আজিজ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় তারা বিভিন্ন মামলায় ৩৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। কোটা আন্দোলন ঘিরে গত কয়েকদিনের টানা অভিযানে এ পর্যন্ত মোট ৪০৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে সন্ধ্যায় রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের এক বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীকে। দলটির মিড়িয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "আজ সন্ধ্যায় ঢাকার একটি বাসা গ্রেফতার করা হয়েছে দলের যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীকে।"
এছাড়া গতকাল রাতে বারিধারার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে।
এদিকে প্রথম আলো ২৫ জুলাইয়ের ছাপা সংস্করণের এক প্রতিবেদনে বলছেন, গত ৮ দিনে (১৭-২৪ জুলাই) সারা দেশে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের অনেকে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মী। কোথাও কোথাও পুরোনো মামলায়ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, গত কয়েক দিনে সারাদেশে বিএনপি অন্তত ২ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও র্যাব
২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও পররাষ্ট্র দফতর পৃথকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়।
ওই কর্মকর্তারা হলেন র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. আনোয়ার লতিফ খান। তাঁদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট।
এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর পৃথক এক ঘোষণায় বেনজীর আহমেদ এবং র্যাব ৭–এর সাবেক অধিনায়ক মিফতাহ উদ্দীন আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), মাদক দ্রব্যের বিরুদ্ধে সরকারের লড়াইয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত।
বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, তারা আইনের শাসন, মানবাধিকারের মর্যাদা ও মৌলিক স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে ক্ষুণ্ন করে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থের বিরুদ্ধে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। র্যাব হচ্ছে ২০০৪ সালে গঠিত একটি সম্মিলিত টাস্ক ফোর্স। তাদের কাজের মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অপরাধীদের কর্মকান্ড সম্পর্কে গোপন তথ্য সংগ্রহ এবং সরকারের নির্দেশে তদন্ত পরিচালনা করা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বা এনজিওদের অভিযোগ হচ্ছে যে, র্যাব ও বাংলাদেশের অন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ২০০৯ সাল থেকে ৬০০ ব্যক্তির গুম হয়ে যাওয়া এবং ২০১৮ সাল থেকে বিচার বহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতনের জন্য দায়ী। কোনো কোনো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এই সব ঘটনার শিকার হচ্ছেন বিরোধী দলের সদস্য, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বিক্ষোভ দমনে নেয়া পদক্ষেপের বিস্তারিত প্রকাশের আহ্বান জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা
জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান ফলকার টুক গত সপ্তাহে বাংলাদেশে বিক্ষোভ দমনে নেয়া পদক্ষেপের বিস্তারিত প্রকাশ করার জন্য এবং আইন শৃঙ্খলা কার্যক্রম যাতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নিয়ম- রীতি মেনে পরিচালনা করা হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সেদেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
“আমাদের ধারণা হচ্ছে, অনেকের উপর সহিংস হামলা চালিয়েছে কিছু গোষ্ঠী, যাদের সরকারের সাথে সম্পৃক্ত বলে ধারণা করা হয়। আক্রান্তদের নিরাপত্তা দেয়ার কোন চেষ্টা করা হয় নাই,” জাতিসংঘ হাই কমিশনার ফর হিউমান রাইটস বলেন।
“আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম, বিশেষ করে শক্তি প্রয়োগসহ বিক্ষোভ তদারকির কাজ যেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নিয়ম- রীতি কঠোর ভাবে মেনে করা হয়,” তিনি বলেন।
সাংবাদিক এবং মিডিয়াসহ সকল স্তরের মানুষ যাতে স্বাধীনভাবে এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যোগাযোগ বজায় রাখতে পারে, সেজন্য টুক ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি চালু করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সরকারের উচিত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের স্বার্থে নিহত,আহত এবং আটক ব্যক্তিদের বিস্তারিত জানানো।
“ইন্টারনেট সেবা সার্বিকভাবে দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ করা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে, যার ফলে বাক স্বাধীনতা এবং সমবেত হওয়ার স্বাধীনতাসহ অন্যান্য অধিকার শ্রদ্ধা করতে রাষ্ট্রের দায়িত্ব প্রভাবিত করে,” হাই কমিশনার বলেন।
“ইন্টারনেট শাটডাউনের ফলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে তথ্য এবং তাদের উপর জনগণের নজরদারি সীমিত করে, যার ফলে তাদের কার্যক্রম আইনগত দায়বদ্ধতার বাইরে চলে যাবার ঝুঁকি সৃষ্টি করে,” তিনি বলেন।
হাই কমিশনার সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে নিরপেক্ষ, স্বাধীন এবং স্বচ্ছ তদন্ত আহ্বান জানান, এবং তাঁর দফতরের সহযোগিতার প্রস্তাব দেন।
তিনি কর্তৃপক্ষকে ঐ ধরণের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না হওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এবং বিক্ষোভে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো রকমের প্রতিশোধ মূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে না বলে নিশ্চয়তা দেওয়ারও আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন করার অধিকার রক্ষায় নিরাপত্তা বিভাগের ব্যাপক সংস্কার সাধনকরা গুরুত্বপূর্ণ।
টুক বলেন, তিনি আশা করেন যে রবিবার সুপ্রিম কোর্টের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থাকে উল্লেখযোগ্য ভাবে কমানোর সিদ্ধান্ত - যে ব্যবস্থার কারণে গত সপ্তাহের বিক্ষোভের সূচনা হয় - এটাই হয়ত আস্থা তৈরির জন্য জায়গা উন্মুক্ত করতে পারে, যা অন্তর্নিহিত সমস্যা এবং অভিযোগগুলি সমাধানের জন্য অর্থবহ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
তিনি সমস্ত রাজনৈতিক নেতা ও দলগুলোকে এমন কোনও বিবৃতি বা কাজ এড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন যা সহিংসতা উস্কে দিতে পারে বা ভিন্নমতাবলম্বীদের উপর আরও দমনপীড়নের দিকে পরিচালিত করতে পারে।