মঙ্গলবার জেলাগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে কারফিউ শিথিল ছিল
মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন তাদের নিজ নিজ জেলায় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে কারফিউ শিথিল করেছে। জেলাগুলোর প্রশাসন পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সময় ঠিক করে।
সোমবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছিলেন এভাবে জেলাভিত্তিক কারফিউ শিথিল করা হবে।
জেলাগুলোতে মঙ্গলবার নিমোক্ত সময়ে কারফিউ শিথিল ছিল
ঢাকা, নরসিংদী, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে- দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৫টা
চট্টগ্রাম জেলা- সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা
কক্সবাজার, কুমিল্লা, চাঁদপুর- ১২টা থেকে বিকাল ৪টা
ফেনি জেলা- সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪ টা
খুলনা বিভাগ- বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা
ব্রাক্ষণবাড়িয়া- ১২টা থেকে বিকাল ৫টা
পাবনা- দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা
রংপুর- দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা
গণমাধ্যমে মৃতের সংখ্যা
বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো তাদের মঙ্গলবারের (২৩ জুলাই) ছাপা সংস্করণে বলেছে সাম্প্রতিক সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১৮৭ জন মারা গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে বলেছে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১৫০।
বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে তাদের হিসাব অনুযায়ী ১৭৪ জন মারা গেছে।
বুধবার ও বৃহস্পতিবারও কারফিউ জারি থাকবে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় সূত্রে জানা গেছে, কারফিউর মেয়াদ আরও দুদিন বাড়ানো হয়েছে, বুধবার ও বৃহস্পতিবারও কারফিউ জারি থাকবে।
ঢাকা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।
গত শুক্রবার রাত থেকে বাংলাদেশে কারফিউ জারি রয়েছে। গত দুইদিনে ঢাকা বা ঢাকার বাইরে কোন সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।
ওদিকে, বাংলাদেশ সেনা বাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ-জামান সোমবার বলেছেন দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি “নিয়ন্ত্রণের ভেতরে” নিয়ে আসা হয়েছে।
গত কয়েকদিন ব্যাপক সহিংসতায় ১০০’র বেশি মানুষ মারা যাবার পর শুক্রবার রাতে সেনা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
গত দুদিনে ১০১৭ জন গ্রেফতার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে সহিংসতা, অগ্নি সংযোগ ও নাশকতার দায়ে গত দুদিনে ১০১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও ৩৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর বহু নেতা-কর্মী রয়েছে বলে জানা গেছে।
এরই মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গ্রেফতার হয়েছেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার এক বিবৃতিতে কোটা বিরোধী আন্দোলনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের কোন ধরনের সংশ্লিষ্টটা না থাকলেও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, "কোটা বিরোধী আন্দোলনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের কোন ধরনের সংশ্লিষ্টটা না থাকলেও নেতা-কর্মীদের হেনস্থা করা হচ্ছে, অনেক নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। (অনেকের) বাসায় পুলিশী অভিযান চালানো হচ্ছে।"