আন্দোলন চালিয়ে যাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারি গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পর আদালতের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তারা তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবেন এবং তাদের ৯ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
দ্রুতই গেজেট প্রকাশিত হবেঃ আপিল বিভাগের রায় নিয়ে আইনমন্ত্রী
রবিবার (২১ জুলাই) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, আপিল বিভাগের রায়ের প্রতিফলনে দ্রুতই গেজেট প্রকাশ করবে বাংলাদেশ সরকার।
এর আগে রবিবার নিম্ন আদালতের আদেশ খারিজ করে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ নির্দেশ দিয়েছে যে এখন থেকে সরকারি চাকরিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। বাকি সাত শতাংশের মধ্যে পাঁচ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, এক শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা আর এক শতাংশ প্রতিবন্ধী-তৃতীয় লিঙ্গ কোটা হিসাবে থাকবে। তবে সরকার চাইলে এই কোটার হার কম-বেশি করতে পারবে। সুপ্রিম কোর্ট অনতিবিলম্বে সরকারকে এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে বলেছে। বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল এ.এম. আমিন উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত কোটাপদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন চাকরিপ্রত্যাশী ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেয়। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে এ বছরের ৫ জুন রায় দেয় হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন চেম্বার আদালত হয়ে ৪ জুলাই আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আসে। রিট আবেদনকারী পক্ষের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন আপিল বিভাগ নট টুডে (৪ জুলাই নয়) বলে আদেশ দেয়। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয়।
এ অবস্থায় কোটা পুনর্বহালসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থী ৯ জুলাই আবেদন করেন। দুই শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন শুনানির জন্য ১০ জুলাই আপিল বিভাগে ওঠে। শুনানি শেষে স্থিতাবস্থার আদেশ দেয় আপিল বিভাগ।
(এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য ইউএনবি থেকে নেওয়া হয়েছে।)
হাইকোর্টের রায় বাতিল, ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট রবিবার সরকারি চাকরির কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে দিয়েছে।
নিম্ন আদালতের আদেশ খারিজ করে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ নির্দেশ দিয়েছে যে এখন থেকে সরকারি চাকরিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। বাকি সাত শতাংশের মধ্যে পাঁচ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, এক শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা আর এক শতাংশ প্রতিবন্ধী-তৃতীয় লিঙ্গ কোটা হিসাবে থাকবে। তবে সরকার চাইলে এই কোটার হার কম-বেশি করতে পারবে। সুপ্রিম কোর্ট অনতিবিলম্বে সরকারকে এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে বলেছে। বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল এ.এম. আমিন উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ.এম. আমিন উদ্দিন বলেন, "শিক্ষার্থীরা স্পষ্টভাবে বলেছে যে সোমবার থেকে বাংলাদেশে যে সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগ শুরু হয়েছে কোনোভাবেই তারা তার অংশ নয়।"
আমিন উদ্দিন আরও বলেন, "আমি আশা করছি আজকের রায়ের পর স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে...আমি সরকারকে বলব সহিংসতার পিছনে দোষীদের খুঁজে বের করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে।"
(এর কিছু তথ্য রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।)
মৃতের সংখ্যা বাড়ছে
দৈনিক প্রথম আলো রবিবার বলছে, বিক্ষোভে নিহতদের মোট সংখ্যা অন্তত ১৪৮ জন।
রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে নিহতের মোট সংখ্যা অন্তত ১১৪।
এএফপি'র প্রদিতবেদনে বলা হয়েছে, এ সপ্তাহের সহিংসতায় অন্তত ১৩৩ জন নিহত হয়েছে।