সরকারের কাছে নয় দফা দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় নতুন কর্মসুচির কথা জানান।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থিদের নয় দফা দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম,
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মন্ত্রীপরিষদ ও দল থেকে পদত্যাগ।
শিক্ষার্থিদের উপর হামলার সময় নিষ্ক্রিয় থাকা ঢাকা, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ।
ঢাকাসহ অন্যান্য যে যে স্থানে, মানুষ নিহত হয়েছে, সেই এলাকার পুলিশ কর্মকর্তদের বরখাস্ত।
হত্যা ও হামলার ঘটনায় দায়ী পুলিশ, ছাত্রলীগ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার।
সহিংসতায় নিহতের পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণ।
সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলীয় ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে, ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা।
অবিলম্বে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হল খুলে দেয়া।
ব্ল্যাকআউট ও আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানালেন ওকাসিও-কর্টেজ
যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট দলীয় আইনপ্রণেতা অ্যালেক্স্যান্ড্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ শুক্রবার (১৯ জুলাই) এক এক্স পোস্টে ব্ল্যাকআউটের ইতি টানা এবং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
পোস্টে তিনি আরও বলেন, "সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের হাতে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। সরকার আরোপিত ব্ল্যাকআউটের কারণে আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ তাদের প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না।"
কারফিউ কার্যকর শুরু হয়েছে
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কারফিউ এবং সেনা মোতায়েন সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী শান্তি শৃঙ্খলারক্ষা ও জন নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ অনুযায়ী আজ (শুক্রবার) হতে সান্ধ্য আইন কার্যকর করা হলো।
কারফিউ বা সান্ধ্য আইনের সময়সীমা
প্রথম দফা
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার দুপুর ১২টা
দ্বিতীয় দফা
বাংলাদেশ সময় শনিবার দুপুর ২টা থেকে রবিবার সকাল ১০টা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কারফিউ প্রসঙ্গে বলেছেন “... এটা নিয়ম অনুযায়ীই হবে এবং সেটা শুট অ্যাট সাইট হবে।"
শুক্রবার রাতে গণভবনে ১৪ দলের বৈঠকে দেশব্যাপী কারফিউ ও সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিক্ষোভকারিদের ওপর হামলা "মর্মান্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য": জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক শুক্রবার বলেন, বাংলাদেশে এ সপ্তাহের সহিংসতা নিয়ে তিনি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তিনি ছাত্র বিক্ষোভকারিদের ওপর হামলাকে "মর্মান্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য" বলে বর্ণনা করেন।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, "ঐসব হামলার ব্যাপারে নিরপেক্ষ, দ্রুত এবং পূর্ণ তদন্ত করতে হবে এবং দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে"।