জাতিসংঘের স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের ক্ষুধার্ত জনগোষ্ঠীর খাদ্য যোগান দেয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ গাজার অর্ধেকের বেশি কৃষিজমি সংঘাতের কারণে নষ্ট হয়ে গেছে।
এই ডেটায় দেখা গেছে, ফিলিস্তিনি ছিটমহলে বাগান, মাঠের ফসল এবং শাকসব্জি ধ্বংসের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আট মাস ধরে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের পরে সেখানে ক্ষুধা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে বলে, গাজার বহু মানুষ ‘বিপর্যয়কর ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির’ মুখোমুখি হচ্ছে।
২০১৭ সালের মে মাস থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে তোলা স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করে জাতিসংঘের স্যাটেলাইট সেন্টার (ইউনোস্যাট) এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) দেখেছে, গাজায় স্থায়ী ফসলের ক্ষেত্র এবং খাদ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় আবাদী জমির ঘনত্ব ৫৭ শতাংশ কমেছে এবং জনস্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য অবনতি হয়েছে।
ইউএনওস্যাট বৃহস্পতিবার বলেছে, “২০২৪ সালের মে মাসে গাজা ভূখণ্ড জুড়ে ফসলের মান ও ঘনত্ব আগের সাত মৌসুমের গড়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।”
ইসরায়েলের হিসাব অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১২০০ জনকে হত্যা এবং ২৫০ জনের বেশি জিম্মিকে আটক করার পর ইসরায়েল স্থল ও বিমান অভিযান শুরু করে।
হামাস নিয়ন্ত্রিত ছিটমহলের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, এই হামলায় গাজায় ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। ত্রাণের পথও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইয়েসুস বুধবার বলেন, গাজায় পাঁচ বছরের কম বয়সী আট হাজারের বেশি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।
ফসলের খেত ও বাগানের পাশাপাশি গাজায় গ্রিনহাউসগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় ইউনোস্যাট।
তাদের তথ্য অনুযায়ী, গাজা ভূখণ্ডে আনুমানিক ১৫১ বর্গ কিলোমিটার কৃষিজমি রয়েছে, যা উপকূলীয় ছিটমহলের প্রায় ৪১ শতাংশ অঞ্চল।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।