বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার, উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিতে নিহত হয়েছেন তিন রোহিঙ্গা নাগরিক। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত তিন জন। সোমবার (১০ জুন) উখিয়ার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে দুইজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আর, নিহত তিন জনই ৪ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা। ঘটনার পর থেকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ক্যাম্পে।
আহত রোহিঙ্গারা জানান, “সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রাতে যুবকদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন। তাদেরকে জিম্মি করে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।”
তারা আরো জানায়, এই পরিস্থিতি ঠেকানোর জন্য সিআইসির পরামর্শে তারা প্রতিরাতে ক্যাম্পের ব্লকে ব্লকে পাহারা বসায়। প্রতিদিনের মতো রবিবার রাতে বিভিন্ন গ্রুপে পাহারা দিচ্ছিলেন তারা। এমন সময় একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের ৩০ থেকে ৪০ জন এসে তাদেরকে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে।
“এসময় গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে সাত জনকে জখম করে তারা। এর মধ্যে দুইজন ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে আরো একজনের মৃত্যু হয়;” জানান আহত রোহিঙ্গারা।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডা. আশিকুর রহমান জানান, “সোমবার সকালে গুলিবিদ্ধ সাত জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে আসা হয়েছে। এরমধ্যে তিন জন মৃত। গুলি ও ছুরিকাঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।”
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিচ্ছিন্নভাবে প্রতিনিয়ত হতাহতের ঘটনা ঘটছে।”
সোমবারের ঘটনার পর ক্যাম্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড় ধরণের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।