বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকার রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। রবিবার (৯ জুন) এই উপজেলায় ভোট গ্রহণের কথা ছিলো। মাচলং নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এবং ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) অবরোধের ডাক দিলে নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
এর আগে, ২৯ মে বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ায় কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রথম দফায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়। নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, বৈরী আবহাওয়া এবং সড়ক ও নৌপথ অবরোধের কারণে দ্বিতীয় দফায় রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে
কোনো ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে সড়ক ও নৌপথ অবরোধের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।বাঘাইছড়ির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে আটকা পড়েন তিন শতাধিক পর্যটক। শনিবার (৮ জুন) সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবিতে এবং সাজেকের বাঘাহাট এলাকায় নির্বাচনি এজেন্টদের হুমকির প্রতিবাদে এই অবরোধের ডাক দেয়া হয়।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব আতিয়ার রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কায়, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন স্থগিত করলো নির্বাচন কমিশন।
রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হোসেন খান জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং সড়ক ও নৌপথ অবরোধের কারণে ৯ জুন অনুষ্ঠেয় বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
মাচলং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব বিপুল চাকমা জানিয়েছেন, নির্বাচন স্থগিত করায় বাঘাইছড়িতে অবরোধ প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তবে, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন না হলে আবার অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
অবরোধ চলাকালে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে তাতে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ পালন করা হয়। এছাড়া বাঘাইছড়ির মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের ৭ কিলোমিটার এলাকায় একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের সময়, সাজেকের ভোটকেন্দ্র থেকে নির্বাচনী উপকরণ নিয়ে ফেরার পথে, সন্ত্রাসীদের গুলিতে ৯ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়েছিলেন।
