বাংলাদেশের চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বুধবার (৫ জুন) রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ২৮ জনকে গ্রেপ্তার, ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ২১ জনের জরিমানা করা হয়েছে।
এর আগে নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ শফিউল আজিম সাংবাদিকদের জানান, এই নির্বাচনে প্রথম চার ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১৭ দশমিক ৩১ শতাংশ।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে নির্বাচন স্থগিত হওয়া ২২ উপজেলায় ৯ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলে।
৬০টি উপজেলা পরিষদের ১৮০টি পদের জন্য মোট ৭২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এর মধ্যে ২৫১ জন চেয়ারম্যান পদে, ২৬৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২০৫ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
তিনটি পদের বিপরীতে পাঁচজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির
এদিকে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ অন্য কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) হাইকমান্ড।
১৬ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষর করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার সরকার ও তাঁর আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না।
অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই বলেও উল্লেখ করে দলটি।
উপজেলা নির্বাচন
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২১ মে। তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৯ মে।