সহযোদ্ধা, স্বজন ও সর্বস্তরের মানুষ অশ্রু আর পুষ্পস্তবকে শেষ বিদায় জানানো হলো নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক শফি আহমেদকে। মঙ্গলবার (৪ জুন) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শফি আহমেদের কফিনে অন্তিম শ্রদ্ধা জানানো হয়।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় শফি আহমেদের কফিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়। সেখানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব চলে। নব্বইয়ের ছাত্র আন্দোলনের নেতা-সংগঠক এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজেনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে শফি আহমেদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি ছিলেন সক্রীয় রাজনীতিক। সব সময় বলতেন, “যে রাজনৈতিক আদর্শ আমার আছে, আমি সেটা বুকে ধারণ করে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বাঁচতে চাই।”
গত শতকের ৯০-এর আণ্দোলনের সময় শফি আহমেদ জাসদ সমর্থক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে তিনি সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। “তিনি ছিলেন সাম্য ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ ও রাজনীতির একনিষ্ঠ সংগঠক;” বলেন তার সহযোদ্ধারা।
বাংলাদেশের ‘নব্বইয়ের’ সমারিক স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা শফি আহমেদ সোমবার (৩ জুন) বিকেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।
শফি আহমেদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সোমবার বিকেলে তিনি তার ঢাকার উত্তরার বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘুমের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে তাকে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শফি আহমেদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার এক শোকবার্তায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।