বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন যে বিএনপি দুর্নীতি ও লুটপাটে পটু একটি দল। বিএনপি নেতাদের নাম দুর্নীতিবাজদের তালিকায় শীর্ষে থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শুক্রবার (৩১ মে) বিকালে, রাজধানী ঢাকায়, আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, “কোনো দেশেই নিখুঁত গণতন্ত্র নেই। আমরাও দাবি করি না যে আমাদের গণতন্ত্র নিখুঁত। তবে আমরা চেষ্টা করছি নিখুঁত করতে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে আন্তরিক।”
“যে বিএনপি এখন বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা বলে, তারা নিজেরাই ‘কারফিউ গণতন্ত্রের’ চর্চা করেছে এবং ১১৪ শতাংশ 'হ্যাঁ' ভোট এবং ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার নিয়ে একটি জালিয়াতি গণভোটের আয়োজন করেছিলো;” তিনি যোগ করেন।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন যে বিএনপি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে এবং নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে।
“দুর্নীতি করা সত্ত্বেও বিএনপি নেতারা তারেক রহমান ও খালেদা জিয়াকে জনপ্রিয় নেতা বলে দাবি করেন;” বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। “বিএনপি আমলে হাওয়া ভবন ছিলো দুর্নীতি ও আঁতুড়ঘর। এখন তারা দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার সাহস পায়। তারা কি কখনো দলের কোনো কর্মী বা সরকারি কর্মকর্তাকে দুর্নীতির জন্য শাস্তি দিয়েছে?”যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সরকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল: বাংলাদেশ এখন মাফিয়া-লুটেরাদের কবলে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি মাফিয়া ও লুণ্ঠনকারীদের কবলে।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণভাবে অপরাধী, লুণ্ঠনকারী ও মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণে। একদিকে তারা (সরকার) মানুষের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে, অন্যদিকে অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে।”
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধি প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সম্পদ নষ্ট করে বাংলাদেশকে করে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা।
তিনি বলেন, তাদের দল ও অন্য বিরোধী দল বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। “ইনশাল্লাহ এই সংগ্রামে আমরা বিজয়ী হবো।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যখন গণতন্ত্র সম্পূর্ণরূপে নির্বাসিত, তখন তারা তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা ও মহান নেতা জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন।
তিনি আরো বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নানা কৌশল অবলম্বন করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং একদলীয় শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ভিন্ন কায়দায় ক্ষমতা দখল করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, “তাই তার (জিয়াউর রহমান) শাহাদাতবার্ষিকীতে আমরা শপথ নিয়েছি যে, দেশের অধিকার, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এখন যে আন্দোলন চলছে তা আমরা তরুণ, বৃদ্ধ ও নারীদের সঙ্গে নিয়ে আরো বেগবান করবো। এই আন্দোলনের মাধ্যমে এই ভয়ংকর দানবীয় সরকারকে পরাজিত করে আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো।"