ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা বৃহস্পতিবার এডেন উপসাগরে পানামার পতাকাবাহী দুটি কনটেইনার জাহাজে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায় স্বীকার করেছে। এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার একজন উপদেষ্টা আবারও হুমকি দিয়েছেন যে তেহরান যদি পরমাণু অস্ত্র ধারণের সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারে।
ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি এবং ইরানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল খারাজি এমন এক সময় এ মন্তব্য করলেন যখন হামাসের মিত্ররা গাজা ভূখণ্ডে জঙ্গি গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে চলা যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে।
হুথিরা জোর দিয়ে বলছে, যতদিন যুদ্ধ চলবে ততদিন সুয়েজ খাল ও ভূমধ্যসাগরের দিকে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ জলপথ দিয়ে জাহাজ চলাচলের ওপর তাদের হামলা অব্যাহত থাকবে। এদিকে যুদ্ধের মধ্যেই ইরান ইসরায়েলে নজিরবিহীন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে বছরের পর বছর ধরে চলা ছায়া সংঘাতকে সামনে নিয়ে এসেছে।
প্রাক-রেকর্ডকৃত বিবৃতিতে সারি এমএসসি দিয়েগো এমএসসি জিনার ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে তৎপর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট জয়েন্ট মেরিটাইম ইনফরমেশন সেন্টার জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে ওই দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে জাহাজ চলাচলের ওপর তাদের হামলার উদ্দেশ্য হলো গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলকে চাপ দেয়া। গত ৭ অক্টোবর হামাস নেতৃত্বাধীন জঙ্গিরা ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১২০০ মানুষকে হত্যা ও ২৫০ জনকে জিম্মি করার পর এই যুদ্ধ শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিটাইম অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, নভেম্বর থেকে হুথিরা জাহাজে ৫০টির বেশি হামলা চালিয়েছে, একটি জাহাজ আটক করেছে এবং আরেকটি ডুবিয়ে দিয়েছে। হুমকির কারণে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল কমে গেছে।