পূর্ব জেরুজালেমে স্থানীয় ইসরায়েলি বাসিন্দারা জাতিসংঘের কম্পাউন্ডের প্রান্তবর্তী এলাকায় আগুন ধরিয়ে দেয়ার পর ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের প্রধান সহায়তা সংস্থা সেখানে তাদের সদর দপ্তর বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএ’র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে বলেন, যথাযথ নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তিনি কম্পাউন্ডটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবারের ঘটনাটি এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে এরকম দ্বিতীয় ঘটনা।
তিনি বলেন, “এটি একটি ভয়াবহ অবনতি। আবারও জাতিসংঘের কর্মীদের জীবন মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে।”
তিনি বলেন, “জাতিসংঘের কর্মী ও স্থাপনাগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করা দখলদার শক্তি হিসেবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের দায়িত্ব।”
ইসরায়েল সৃষ্টির সময় ১৯৪৮ সালের যুদ্ধের সময় পালিয়ে আসা বা তাদের বাড়িঘর থেকে পালিয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের পরিচালনা করার জন্য ইউএনআরডব্লিউ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের সহিংসতার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
ইসরায়েলের পুলিশ জানায়, তারা ইউএনআরডব্লিউএ কম্পাউন্ড সংলগ্ন আগুনের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এতে বলা হয়, “পুলিশি তদন্তের প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই কাজটি অল্প বয়সী অপ্রাপ্তবয়স্কদের দ্বারা সংঘটিত। তাদের বয়স অপরাধমূলক দায়বদ্ধতার জন্য বিধিবদ্ধ বয়সসীমার নিচে।”
গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বারবার গাজায় ইসলামপন্থী আন্দোলন হামাসের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সংস্থাটি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘ দৃঢ়ভাবে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইসরায়েল পুরো জেরুজালেমকে তার অবিভাজ্য রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করে। জেরুজালেমের মধ্যে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে দখল করা পূর্বাঞ্চলও রয়েছে। জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনিরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের ভবিষ্যত রাজধানী হিসেবে দেখতে চায়।