বৃহস্পতিবার ভোরের আগে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে আসা সাতজন নাপিতকে হত্যা করা হয়েছে। সে দেশের বালুচিস্তান প্রদেশের কর্তৃপক্ষ এই হত্যার জন্য সন্দেহভাজন বালুচ বিদ্রোহীদের দায়ী করছে।
এই ঘটনা ঘটেছে উপকূলীয় শহর গদরে। এই শহরে নিকটবর্তী আরব সাগরের উপর গভীর জলবন্দর নির্মাণ করেছে চীনের একটি সংস্থা এবং এই বন্দর তারা পরিচালনা করে। বৃহস্পতিবারের হামলার জন্য কোনও গোষ্ঠী তাৎক্ষণিকভাবে দায় স্বীকার করেনি।
বালুচ লিবারেশন আর্মি বা বিএলএ-সহ বেআইনি বালুচ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি পাঞ্জাব ও পাকিস্তানের অন্যান্য অংশ থেকে বালুচিস্তানে আসা বসতিস্থাপনকারীদের লক্ষ্যবস্তু করার দায় স্বীকার করেছে অতীতে। তাদের দাবি, তারা পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
গদর পুলিশ সংবাদদাতাদের বলেছেন, আক্রান্তরা (এদের মধ্যে একজন আহত ব্যক্তিও রয়েছেন) ঘুমাচ্ছিলেন। সেই সময় আততায়ীরা তাদের বাসভবন চত্বরে ঢুকে পড়ে এবং পালানোর আগে বুলেট দিয়ে তাদের ঝাঁঝরা করে দেয়।
নিরাপত্তা বাহিনীকে আক্রমণ ও এই অঞ্চল থেকে চীনের বিনিয়োগ প্রত্যাহারের দাবিসহ বিএলএ এই প্রদেশে চীনের অর্থায়নে চলা একাধিক প্রকল্পে কর্মরত চীনের নাগরিকদেরও লক্ষ্যবস্তু করেছে।
প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি নাপিতদের এই হত্যাকে নিন্দা করেছেন এবং দুষ্কৃতীদের আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বালুচিস্তানে বিদ্রোহ দমন করতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নিয়মিত অভিযান চালায়। তাদের দাবি, এই অঞ্চলে বিদ্রোহ অনেকাংশে দমন করেছে তারা। তবে, সাম্প্রতিক কালে হামলার বাড়বাড়ন্তের কথা উল্লেখ করে সমালোচকরা এই দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
গত মাসে বালুচিস্তানের নশকি জেলায় বিদ্রোহীরা পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী মহাসড়ক অবরোধ করেছিল এবং পাঞ্জাবের এক ডজন বাসযাত্রীকে অপহরণের পর হত্যা করেছিল। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল বিএলএ।
মার্চ মাসে সশস্ত্র বিএলএ যোদ্ধারা গদরে এক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনে ঢুকে পড়েছিল। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আটজন আততায়ী নিহত হয়।