অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

২০ বছর অপেক্ষার পর যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে অভিযোগ তুলে ধরবেন আবু গারিবের বন্দীরা


২০০৪ সালের ২২ জুনের এই ছবিতে বাগদাদের উপকণ্ঠে আবু গারিব কারাগারে এক বন্দী সামরিক পুলিশ অফিসারের সাথে কথা বলছেন। ফাইল ছবি।
২০০৪ সালের ২২ জুনের এই ছবিতে বাগদাদের উপকণ্ঠে আবু গারিব কারাগারে এক বন্দী সামরিক পুলিশ অফিসারের সাথে কথা বলছেন। ফাইল ছবি।

২০ বছর আগে এই মাসেই ইরাকের আবু গারিব কারাগারে নির্যাতিত বন্দী এবং তাদের পাহারায় থাকা যুক্তরাষ্ট্রের হাস্যোজ্জ্বল সেনাদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল, যা বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছিল।

এখন আবু গারিব থেকে বেঁচে ফেরা তিন বন্দি অবশেষে তাদের ওপর হওয়া অত্যাচারের জন্য দায়ী সামরিক ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে অভিযোগ তুলে ধরার সুযোগ পাবে।

বাদীপক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী সেন্টার ফর কন্সটিটিউশনাল রাইটসের আইনজীবী বাহের আজমি বলেন, সোমবার আলেকজান্দ্রিয়ার ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে বিচার শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। আবু গারিব থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা এই প্রথমবারের মতো তাদের অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের জুরির সামনে আনতে সক্ষম হবে।

এই দেওয়ানি মামলার আসামি সিএসিআই কারাগারে কর্মরত জিজ্ঞাসাবাদকারীদের সরবরাহ করেছিল। ভার্জিনিয়া ভিত্তিক ঠিকাদার কোনোপ্রকার অন্যায় কার্যক্রমের কথা অস্বীকার করেছে। তারা ১৬ বছর ধরে চলা মামলায় জোর দিয়ে বলেছে, তাদের কর্মচারীরা মামলার কোনো বাদীকে কথিত অত্যাচার করেছে এমন কোনো অভিযোগ নেই।

বাদীপক্ষ অবশ্য সিএসিআই-কে এমন শর্ত আরোপের জন্য দায়ী করতে চায় যার ফলে তাদেরকে নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছিল। বাদীপক্ষ সরকারি তদন্তে প্রমাণের কথা উল্লেখ করে যে সিএসিআই ঠিকাদাররা সামরিক পুলিশকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বন্দীদের নতজানু করার নির্দেশ দিয়েছিল।

আবু গারিব কেলেঙ্কারির তদন্তে নেতৃত্ব দেয়া অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আন্তোনিও তাগুবাও সাক্ষ্য দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তার তদন্তে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গেছে যে, সামরিক পুলিশকে শারীরিক নির্যাতনের ক্ষেত্রে এমন শর্ত নির্ধারণের নির্দেশ দেয়ার জন্য কমপক্ষে একজন সিএসিআই জিজ্ঞাসাবাদকারীকে জবাবদিহি করা উচিত।

নির্যাতন যে ভয়াবহ ছিল তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই। ২০০৪ সালে প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা যায়, নগ্ন বন্দীদের পিরামিড আকারে একে অন্যের ওপর রাখা হচ্ছে অথবা চাবুক মেরে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিছু ছবিতে একজন সেনাকে মৃতদেহের পাশে পোজ দিয়ে হাসতে এবং থাম্বস আপ প্রদর্শন করতে দেখা গেছে। কিছু ছবিতে বন্দীদের কুকুর দিতে ভয় দেখাতে বা হুড বেঁধে বৈদ্যুতিক তারের সাথে সংযুক্ত করতে দেখা গেছে।

কুখ্যাত ছবিগুলোতে বাদীকে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায় না, তবে তাদেরকে করা অত্যাচারের বর্ণনা উদ্বেগজনক।

XS
SM
MD
LG