অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সিরিয়ায় হামলার পর ইসরাইলি দূতাবাসগুলো 'আর নিরাপদ নয়', বলছে ইরান


সিরিয়ার দামেস্কে বিমান হামলায় ধ্বংস হওয়া ভবনে কাজ করছে জরুরি পরিষেবা দল; এপ্রিল ২০২৪।
সিরিয়ার দামেস্কে বিমান হামলায় ধ্বংস হওয়া ভবনে কাজ করছে জরুরি পরিষেবা দল; এপ্রিল ২০২৪।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার একজন উপদেষ্টা রবিবার সতর্ক করেন যে,সিরিয়ায় হামলার পর ইসরাইলি দূতাবাসগুলো "আর নিরাপদ নয়"। এই হামলার জন্য তেহরান ইসরাইলকে দায়ী করেছে। বিমান হামলায় বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর ৭ সদস্য নিহত হয়েছেন।

আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সিনিয়র উপদেষ্টা ইয়াহিয়া রহিম সাফাভিকে উদ্ধৃত করে আইএসএনএ বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, তিনি বলেছেন, "ইহুদিবাদী সরকারের দূতাবাসগুলো আর নিরাপদ নয়।"

দামেস্কে পরিচালিত সোমবারের বিমান হামলার প্রতিশোধ নেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে তেহরান। এই হামলায় ইরানি দূতাবাসের কনস্যুলার অ্যানেক্সক ভূমির সাথে মিশে গেছে। আর, দুই জেনারেলসহ ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এর ৭ সদস্য নিহত হয়েছেন।

“প্রতিরোধ বাহিনী প্রস্তুত; এর প্রতিক্রিয়া কেমন হবে, তার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে," সাফাভি উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, "এই নৃশংস শাসনকে মোকাবেলা করা একটি আইন সঙ্গত এবং বৈধ অধিকার।"

তিনি আরো উল্লেখ করেন যে এই অঞ্চলের চারপাশে একাধিক ইসরাইলি দূতাবাস "বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।" তবে, এ বিষয়ে ইসরাইলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সোমবার চালানো এই হামলা, এক সপ্তাহের মধ্যে সিরিয়ায় পঞ্চম হামলা। ব্রিটেন-ভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, এই হামলায় ১৬ জন নিহত হয়েছে। সিরিয়া এই হামলার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করে।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি এবং মোহাম্মদ হাদিহাজি রাহিমি। তারা, আইআরজিসি-এর বিদেশে অপারেশন পরিচালনার জন্য নিয়োজিত শাখা কুদস ফোর্সের সিনিয়র কমান্ডার ছিলেন।

৬৩ বছর বয়সী জাহেদী তার ৪০ বছরের বেশি সময়ের কর্মজীবনে বেশ কয়েকটি কমান্ডের দায়িত্ব পালন করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায়, বাগদাদ বিমানবন্দরে ২০২০ সালে, কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর, জাহেদি হলেন সবচেয়ে সিনিয়র ইরানি কমান্ডার, যিনি নিহত হয়েছেন। গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দামেস্কে সোমবারের এই হামলার ঘটনা ঘটে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার পর এই যুদ্ধ শুরু হয়। সেই হামলায় ১,১৭০ জন নিহত হয়।নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই বেসামরিক মানুষ।

তেহরান হামাসকে সমর্থন করে; তবে, হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছে। এই হামলা গাজা ভুখণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যাপক আকারে ইসরাইলি প্রতিশোধের ঘটনার জন্ম দিয়েছে।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ছয় মাসের যুদ্ধে সেখানে অন্তত ৩৩,১৭৫ জন নিহত হয়েছেন।

ইরান ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয় না এবং দুই দেশ বছরের পর বছর ধরে ছায়া যুদ্ধ করে আসছে।এই ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটি, তার পারমাণবিক কর্মসূচি লক্ষ্য করে ইসরাইল বেশ কয়েকটি নাশকতা চালিয়েছে ও হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করেছে বলে অভিযোগ করে আসছে।

XS
SM
MD
LG