যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা চীন ও রাশিয়ার মধ্যে আরও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে ওঠার ব্যাপারে ক্রমশ উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। তারা মনে করছেন, দুই দেশ যদি আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলে, তাহলে তারা পশ্চিমা ঐক্যকে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত বৈশ্বিক পর্যায়ে শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে পারে।
ইন্দো-প্যাসিফিক বা ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর কমান্ডার হাউস আর্মড সার্ভিসেস কমিটির আইনপ্রণেতাদের বলেন, বেইজিং ও মস্কোর মধ্যকার ক্রমবর্মান ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বর্তমান পরিবেশকে “গত ৪০ বছরের মধ্যে আমার দেখা সবচেয়ে বিপজ্জনক” অবস্থা করে তোলার পেছনে "বড় কারণ।"
“ওই দুই কর্তৃত্ববাদী দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা আমাদেরকে ভিন্ন নিরাপত্তা পরিবেশে নিয়ে গেছে,” বুধবার ওয়াশিংটনে এক শুনানিতে অ্যাডমিরাল জন অ্যাকুইলিনো বলেন।
তিনি বলেন, “আমার ধারণা, এ অঞ্চলে আমাদের সমমনা মিত্র ও অংশীদারদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বিস্তৃত জোট ও অংশীদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করার এটি একটি উপায়।”
পেন্টাগনের কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে চীন ও রাশিয়াকে ভিন্ন ভাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছেন। বেইজিং-এর ক্রমবর্ধমান সামরিক ক্ষমতা এবং এই ক্ষমতাকে ব্যবহার করার ইচ্ছাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং রাশিয়া ও তার কার্যকলাপকে হুমকি বলে চিত্রিত করেছেন।
তবে, অ্যাকুইলিনো চীন, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া ও ইরানের মধ্যকার সম্পর্ককে একটি উদীয়মান ‘শয়তানের চক্র ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেন, “আমাদের সে অনুযায়ী কাজ করা উচিত।”
ইউরোপ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের উন্নয়ন ক্রমশ সংযুক্ত হচ্ছে, এই ভাবনার সাথে একমত পোষণ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তা বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এলি র্যাটনার ।
র্যাটনার ও অ্যাকুইলিনোর মূল্যায়নের আগে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা একই ধরনের সতর্কবার্তা দেন যে, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে মস্কোর সব লক্ষ্য এখনো অর্জিত না হলেও এটি চীনের নেতৃত্বকে উৎসাহিত করেছে।
ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক এভ্রিল হেইনস এ মাসের শুরুতে আইনপ্রনেতাদের বলেছিলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে সমর্থনের বিনিময়ে চীন মস্কোর কাছ থেকে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ছাড় পেতে সক্ষম হয়েছে।