নিউইয়র্কের একটি মানহানির মামলার তদারকি করা ফেডারেল বিচারক যিনি ডনাল্ড ট্রাম্পকে ম্যাগাজিনের একজন কলামিস্টকে ৮ কোটি ৩৩ লক্ষ ডলার দেয়ার রায় দিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার তিনি প্রাক্তন এই প্রেসিডেন্টকে এই রায়ের কারণে সৃষ্ট আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি দিতে অস্বীকার করেছেন।
বিচারক লুইস এ কাপলান এক লিখিত আদেশে ট্রাম্পের আইনজীবীকে বলেন, রায় আপিলে টিকে গেলে ৮০ বছর বয়সী লেখক ই জিন ক্যারল যাতে এই অর্থ পান সেই মর্মে বন্ড দেয়ার জন্য তিনি কালবিলম্ব করবেন না।
বিচারক বলেন, ক্যারল তার স্মৃতিকথায় দাবি করেন, ট্রাম্প তাকে ধর্ষণ করেছিলেন। এরপর ট্রাম্প ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ক্যারল সম্পর্কে মন্তব্য করেন,যার ফলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয়। জানুয়ারির শেষে ওই মামলার রায়ে ট্রাম্পের ধীর প্রতিক্রিয়ার ফলে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য রিপাবলিকান এই শীর্ষ প্রার্থী আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন।
সে সময় ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ১৯৯৬ সালের বসন্তে ম্যানহাটনের একটি বিলাসবহুল ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের কাপড় পাল্টাবার কক্ষে ক্যারলকে ধর্ষণ করার ঘটনাটি বানোয়াট। গত মে মাসে ট্রাম্পের অনুপস্থিতিতে এক শুনানিতে জুরি ক্যারলকে ৫০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার রায় দেয়। সেখানে বলা হয়, ট্রাম্প তাকে যৌন নির্যাতন করলেও ধর্ষণ করেননি। এতে আরও বলা হয়, ২০২২ সালের অক্টোবরে বয়ানে ট্রাম্প ক্যারলের মানহানি করেছেন।
ট্রাম্প জানুয়ারির বিচার প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন এবং সংক্ষেপে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তবে তার মন্তব্যগুলো বিচারক বেশ সীমিত করেছিলেন। বিচারক রায় দিয়েছেন, জুরিকে মে মাসের রায় মেনে নিতে হবে এবং কেবল ট্রাম্পের ২০১৯-এর বিবৃতির জন্য ক্যারলকে কতটা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে তা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিবৃতিতে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি ক্যারলকে চেনেন না। বই বিক্রি ও রাজনৈতিক ক্ষতি করার জন্য তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
ট্রাম্পের আইনজীবীরা সাড়ে ছয় কোটি ডলারের শাস্তিমূলক রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, আপিলে এটি হ্রাস বা বাদ পড়ার ‘জোরালো সম্ভাবনা’ রয়েছে।