যুক্তরাষ্ট্রের একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা সুদানের প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেলদেরকে গৃহযুদ্ধে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন,তারা “মৃত্যু,ধ্বংস ও অবক্ষয়ে ইন্ধন জোগাচ্ছে”।
জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস -গ্রিনফিল্ড বুধবার সংবাদদাতাদের বলেন,”এই প্রতিবেদনের বিবরণ অনুযায়ী, মুষ্টিমেয় কিছু আঞ্চলিক শক্তির কাছ থেকে অস্ত্র হস্তান্তরের মাধ্যমে এই সংঘাত শুরু হয়েছে।”
গত বছরের এপ্রিলে সুদানের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ বুরহান এবং আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের কমান্ডার হামলান দাগালোর মধ্যে লড়াই শুরু হয়। এই দুজন জেনারেল ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর সুদানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মিত্র হলেও ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন।
জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে সম্পন্ন হওয়া ৫২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,সুদানের সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) এবং বিদ্রোহী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস উভয়েরই তাদের যুদ্ধের তহবিল সংগ্রহের আর্থিক উপায় ছিল। এতে আরও বলা হয়,তারা সুদানের স্বর্ণ-বানিজ্যের বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণ করে।
আরএসএফ সুদানের দারফুর অঞ্চলে তার নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল চাদ, দক্ষিণ লিবিয়া এবং দক্ষিণ সুদানের মধ্য দিয়ে যাওয়া যানবহরগুলো রক্ষা করার জন্য লোকজনের কাছ থেকে ফি আদায়ের মাধ্যমে তাদের অভিযানে অর্থায়ন করে। এইসব অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি লড়াই হয়েছে।
আরএসএফ তাদের যোদ্ধাদের জন্য নতুন সরবরাহ লাইনও তৈরি করেছে। এই লাইন দিয়ে চাদের পূর্বাঞ্চল, লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চল ও সুদানের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে সুদানে অস্ত্র,গোলাবারুদ,জ্বালানি এবং যানবাহন চোরাচালান করা হয়।
প্যানেল বলেছে, জুলাই মাস থেকে আরএসএফ বিভিন্ন ধরনের ভারী ও অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার শুরু করে যা যুদ্ধের শুরুতে তাদের কাছে ছিল না।
যুদ্ধরত পক্ষগুলোর নিরাপত্তাহীনতা ও হস্তক্ষেপের কারণে মানবতাবাদীরা বেসামরিক নাগরিকদের পর্যাপ্ত খাবার দিতে পারে না। ডব্লিউএফপি বলছে, সুদানে জরুরি মাত্রার ক্ষুধার্ত মানুষের ৯০ শতাংশই দুর্গম এলাকায় বসবাস করে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বৃহস্পতিবার সুদান ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ব্রিফ করবেন।