অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

প্রেসিডেন্ট বাইডেন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে যাচ্ছেন যখন গাজা এবং ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে


প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওয়াশিংটনের ক্যাপিটলে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে তার স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন ভাষণ দিচ্ছেন। ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩। ফাইল ছবি।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওয়াশিংটনের ক্যাপিটলে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে তার স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন ভাষণ দিচ্ছেন। ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩। ফাইল ছবি।

স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন ভাষণে ঐতিহ্যগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টরা অভ্যন্তরীণ সাফল্য তুলে ধরেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অর্থনীতি, প্রজনন অধিকার, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং অভিবাসন বিষয়ে তার পরিচালনা নিয়ে কথা বলবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে যুদ্ধ মোকাবিলা করছে, তাই কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বাইডেনের চতুর্থ ও সম্ভাব্য চূড়ান্ত ভাষণে আলোচ্যসূচিতে হয়তো পররাষ্ট্রনীতি প্রাধান্য পাবে।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা যোগাযোগ উপদেষ্টা জন কার্বি বুধবার ভয়েস অফ আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রেসিডেন্ট বিশ্ব মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তার সাফল্য তুলে ধরতে চান।

বাইডেন তার ভাষণে আবারও বৈদেশিক সহায়তা বিল পাসের আহ্বান জানাবেন। তিনি যুক্তি দেবেন যে, ক্রমবর্ধমান রুশ সম্প্রসারণবাদের লক্ষণগুলোর মধ্যে আলাদা থাকাকে প্রশ্রয় দেয়া আমেরিকার স্বার্থের পক্ষের কাজ নয়।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বুধবার তার ব্রিফিং-এ বলেন, প্রেসিডেন্ট বলার চেষ্টা করবেন যে হাউস রিপাবলিকানদের এগিয়ে আসতে হবে। স্পিকারকে জাতীয় নিরাপত্তাকে সামনে রাখতে হবে।

প্রেসিডেন্ট সম্ভবত ৭ অক্টোবরে হামাসের হামলার পর ইসরাইলিদের প্রতি তার তাৎক্ষণিক সমর্থনের কথা বলবেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হুমকি থেকে ইসরাইল যাতে নিজেকে রক্ষা করতে পারে তা নিশ্চিত করার গুরুত্বের ওপর জোর দেবেন।

তবে ইসরাইলপন্থী ডেমোক্র্যাট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী যারা সংঘাতের বিষয়ে তার অবস্থান সমর্থন করেন, তাদের বিপরীতে প্রগতিশীল ডেমোক্র্যাট আর আরব ও মুসলিম আমেরিকানদের বিভাজন বিবেচনায় নিয়ে তাকে এই ইস্যুতে সাবধানতার সাথে পা ফেলতে হবে।

গাজায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হওয়ায় ক্ষোভ এবং ইসরাইলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার ওপর শর্ত আরোপ করতে বাইডেনের অস্বীকৃতির ফলে মিশিগান এবং মিনেসোটায় ডেমোক্র্যাটিক প্রাথমিক নির্বাচনের ভোটারদের উল্লেখযোগ্য অংশ তাদের প্রতিবাদের চিহ্ন হিসেবে এবং তাৎক্ষণিক ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবিতে তাদের ব্যালটগুলোকে “অনিশ্চিৎ” হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

ইউলিয়া ইয়ারমোলেঙ্কো এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।

XS
SM
MD
LG