ইসরাইলি সেনাবাহিনী বুধবার বলেছে তারা উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় বিমানহামলা চালিয়েছে। এক দিন আগেই জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে মানবিক কারণে গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও ত্রাণ সামগ্রীর সরবরাহ বাড়ানোর প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়েছে এবং ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির বিষয়টি নাকোচ করেছে।
গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণ অংশে অবস্থিত খান ইউনিস শহর সহ কয়েকটি এলাকায় কয়েক ডজন হামাস যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরাইলী প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
বুধবার গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত এক দিনে ১১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যার ফলে অক্টোবরে এই যুদ্ধ শুরুর পর থেকে নিহত ও আহতের সংখ্যা বেড়ে যথাক্রমে ২৯ হাজার ৩১৩ ও ৬৯ হাজার ৩৩৩ হয়েছে।
ইসরাইল সতর্ক করেছে, তারা রাফা অঞ্চলে সর্বাত্মক হামলা চালাবে। দক্ষিণ গাজার এই শহরটি মিশরের সীমান্তে অবস্থিত। ইসরাইলী কর্মকর্তারা বলছেন, সেখানে অবস্থানরত হামাস সদস্যদের নির্মূলে এই অভিযান আবশ্যক। কর্মকর্তারা সেখান থেকে বেসামরিক ব্যক্তিদের সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন, কিন্তু কোনো বিস্তারিত পরিকল্পনার কথা জানাননি।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বারবার বলছেন, গাজায় বেসামরিক মানুষের জন্য কোনো নিরাপদ জায়গা নেই।
মিশর তাদের ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিতে আপত্তি জানিয়ে বলেছে, এ ধরনের উদ্যোগ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির সমতুল্য। ইসরাইল এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
ইসরাইলি কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র বাহিনী হামাসের যোদ্ধারা ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে প্রবেশ করে এক হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করে ও আরও ২৫০ জনকে জিম্মি করে। এ ঘটনার পর হামাসকে নির্মূল করতে অভিযান শুরু করে ইসরাইল। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইইউ-র তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসের হাতে এখনো ১৩০ জন জিম্মি গাজায় বন্দি আছেন বলে ধারণা করা হয়। জিম্মিদের মধ্যে ৩০ জন নিহত হয়েছে বলে অনুমান করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স ও এএফপি থেকে নেওয়া হয়েছে।