পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রশাসন সোমবার বলেছে, গভীর রাতে জঙ্গি হানায় কমপক্ষে ১০ জন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত ও আরও ছয়জন আহত হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে সে দেশে জাতীয় নির্বাচনের আগে ঘটলো এমন ঘটনা।
জঙ্গি-অধ্যুষিত ডেরা ইসমাইল খানে এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একদল সশস্ত্র জঙ্গি একটি থানায় ঢুকে পড়ে বন্দুক ব্যবহার করে ও গ্রেনেড ছুঁড়তে থাকে। পালানোর আগে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর গুলি করেছে তারা।
স্থানীয় পুলিশ বলেছে, হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে পাকিস্তানি সৈন্যদের সহযোগিতায় সম্প্রতি “বড় আকারের তল্লাশি অভিযান” চালানো হয়েছে। এই জেলায় প্রবেশ ও প্রস্থানের সমস্ত পথই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এই ধ্বংসলীলার দায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ নেয়নি, তবে নিষিদ্ধ গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান বা টিটিপি-কে সন্দেহ করা হচ্ছে। আফগানিস্তান সীমান্তে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের এই জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপর নিয়মিত হামলা চালায় এই গোষ্ঠী।
গত ডিসেম্বরে আত্মঘাতী বোমারুসহ জঙ্গিরা ডেরা ইসমাইল খানে এক সেনাঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল। পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সামরিক বাহিনীর উপর অন্যতম ভয়াবহ এই হামলায় ২৩ জন সৈন্য নিহত এবং অনেকে আহত হয়।
এই হানার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-জিহাদ পাকিস্তান বা টিজেপি নামে পরিচিত নব-গঠিত একটি জঙ্গি গোষ্ঠী। জানা গেছে, এই গোষ্ঠী টিটিপির শাখা।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই দুই গোষ্ঠী “সম্ভবত আল-কায়দার মদতে” আফগান ভূখণ্ড থেকে পরিচালিত হয়।
গত সপ্তাহে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীরা আফগানিস্তান সীমান্তে দক্ষিণ-পশ্চিম বালুচিস্তান প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর স্থাপনার উপর সম্মিলিতভাবে হামলা চালিয়েছে।
মাচ শহরে এই হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর চারজন ও দুইজন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে।
এই হামলার দায় স্বীকার করেছে নিষিদ্ধ বালুচ লিবারেশন আর্মি বা বিএলএ।
টিটিপি ও বিএলএ উভয়কেই বৈশ্বিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।