পাকিস্তানের কারাবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সোমবার তাঁর চলতি বিচারপ্রক্রিয়ায় দেশের সাবেক সামরিক প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস প্রতিনিধিকে তলব করার আবেদন জানিয়েছেন। ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেশের গোপন বিষয় ফাঁস করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ইসলামাবাদের কাছে এক হাজত চত্বরের মধ্যে এই মামলার শুনানির সময় ইমরান খান এই বিবৃতি দেন। “গুরুতর নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি”র কথা উল্লেখ করে পাকিস্তান সরকার রাজধানীর কাছে ৭১ বছর বয়সী এই জনপ্রিয় রাজনীতিকের বিচার করতে বিশেষ একক বিচারকের আদালত তৈরি করেছে। অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে তাঁর বিচার চলছে।
সোমবারের বিচারপ্রক্রিয়ায় যোগ দিতে স্থানীয় মিডিয়ার ছয় সাংবাদিককে অনুমতি দিয়েছিল জেল কর্তৃপক্ষ। জনগণ ও মিডিয়ার জানার অধিকার সংক্রান্ত ফেডারেল আদালতের সাম্প্রতিক রায়কে উপেক্ষা করেই বিদেশী মিডিয়াকে আটকানো হয়েছে।
বিচারপতিকে বলা খানের বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে, “আমি (এই মামলায়) জেনারেল বাজওয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করব। ডনাল্ড লু-র নির্দেশ মেনে সব কিছু করেছিলেন বাজওয়া।”
পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট লু-র প্রসঙ্গ টানেন ইমরান খান।
ইমরান খানের আইনি দলের সদস্য ইন্তিজার হুসাইন বলেন, “আদালতে অবাধ শুনানির নামে” এই বিচারপ্রক্রিয়া কভার করতে “কেবলমাত্র নির্বাচিত সাংবাদিক গোষ্ঠীকে” অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ভিওএ ও বিবিসি-সহ আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে শুনানিতে যোগ দেওয়ার অনুমতি না দেওয়ার জন্য তিনি কর্তৃপক্ষের নিন্দা করেন।
তিনি ভিওএ-কে বলেন, “আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী এটা কোনও উন্মুক্ত বিচার নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে ন্যায্য বিচার পাব বলে আমরা বিশ্বাস করি না।”
১২ ডিসেম্বরে আদালত যখন আবার বিচার শুরু করবে তখন ইমরান খানকে অভিযুক্ত করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।