প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, সান ফ্রান্সিস্কো বে এলাকায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সাথে একটি বিপুল প্রত্যাশিত বৈঠকের সময় বুধবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আলোচ্যসূচীতে দুই পরাশক্তির সেনাবাহিনীর মধ্যে যোগাযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়টি রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত এশিয়া-প্রশান্ত মহাসগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে নেতারা বৈঠক করবেন।
সগত বছর ইন্দোনেশিয়ার বালিতে দেখা হওয়ার পর থেকে বাইডেন-শি শীর্ষ সম্মেলন হবে দুজন প্রেসিডেন্টের মধ্যকার প্রথম মুখোমুখি বৈঠক।
এটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের নড়বড়ে সম্পর্কের জন্য একটি ইতিবাচক লক্ষণ। আমেরিকান ও চীনা কর্মকর্তাদের মধ্যকার বর্ধিত কার্যক্রমের পরে এটি হতে যাচ্ছে। প্রশাসন ইতোমধ্যেই এই বছর বেইজিং-এ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিংকেন, অর্থমন্ত্রী জ্যানেট এল ইয়েলেন এবং বাণিজ্য মন্ত্রী জিনা রাইমন্ডো।
তৎকালীন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির আগস্টে তাইওয়ান সফরের প্রতিবাদে চীন গত বছর সেনাবাহিনীর মধ্যকার যোগাযোগ স্থগিত করেছিল। স্থগিত বিষয়গুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল প্রতিরক্ষা নীতি সমন্বয় আলোচনা। এর উদ্দেশ্য ছিল কার্যকর যোগাযোগ চ্যানেল বজায় রাখা, ঝুঁকি হ্রাস এবং সামুদ্রিক সেনা যোগাযোগ চুক্তি। এই চুক্তি জাহাজ ও বিমান অপারেটরদের নিয়মিত যোগাযোগের অনুমোদন দেয়।
ব্লিংকেন জুন মাসে বেইজিং সফরের সময় যোগাযোগের চ্যানেলগুলো পুনঃস্থাপন করতে পারেননি। প্রশাসনের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা বলেছেন, “চীনারা অনিচ্ছুক ছিল এবং তাই আগামি সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট জোরালোভাবে চাপ দিতে চাচ্ছেন। ”
বাইডেন-শি বৈঠকটি জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েক মাস আগে হতে যাচ্ছে। ওয়াশিংটন চায় না বেইজিং প্রচারে হস্তক্ষেপ করুক। চীন স্ব-শাসিত এই দ্বীপটিকে তার বিপথগামী প্রদেশ বলে মনে করে।
প্যারিস হুয়াং এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।