অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

১৪ লাখ নিবন্ধিত আফগান শরণার্থীর থাকার মেয়াদ বাড়াল পাকিস্তান


ফাইল ছবি- আফগানিস্তানের তোরখামে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে একটি শিবিরে এক আফগান শরণার্থী কিশোরী দাঁড়িয়ে আছে। (৪ নভেম্বর ২০২৩)
ফাইল ছবি- আফগানিস্তানের তোরখামে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে একটি শিবিরে এক আফগান শরণার্থী কিশোরী দাঁড়িয়ে আছে। (৪ নভেম্বর ২০২৩)

চার মাস বিলম্বের পরে, শুক্রবার প্রায় ১৪ লক্ষ আফগান শরণার্থীর বৈধতা বাড়ানোর ঘোষনা দিয়েছে পাকিস্তান।বছরের শেষ পর্যন্ত এর মেয়াদ অব্যাহত থাকবে। যদিও তারা পুনরায় সমস্ত অনিবন্ধিত আফগান এবং অন্যান্য বিদেশী নাগরিকের বহিস্কার বন্ধ করার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে।

পাকিস্তানে অবৈধভাবে বসবাসরত বিদেশিদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযানের মধ্যে এই ঘোষণাটি স্বস্তি হিসাবে এসেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই আফগান শরনার্থী। সরকারীভাবে আনুমানিক আনুমানিক ১৭ লক্ষ আফগান শরনার্থী রয়েছে দেশটিতে।

ভিওএ-এর হাতে আসা একটি সরকারী ঘোষণায় বলা হয়, "পাকিস্তান সরকার ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত নিবন্ধিত আফগান শরণার্থীদের ইস্যু করা নিবন্ধনের প্রমাণ বা পিওআর কার্ডের বৈধতা বাড়াতে পেরে আনন্দিত।”


পাকিস্তানে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের এক মুখপাত্র এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, জুলাইয়ের শুরুতে এই সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল। তিনি ভয়েস অব আমেরিকাকে আরও বলেন, বিলম্বের কারণে শরণার্থী পরিবারগুলো হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে, বিশেষ করে দমন-পীড়ন শুরু হওয়ার পর।

নিবন্ধিত শরণার্থীরা হচ্ছে মূলত ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসন থেকে শুরু করে কয়েক দশকের সংঘাত এবং নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা পরিবারগুলি। পাকিস্তান ইদানীং প্রতি ছয় মাস অন্তর তাদের পিওআর কার্ড নবায়ন করছিল। কিন্তু এই বছরের ৩০ শে জুন তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে তারা আর এর মেয়াদ বাড়ায়নি । শুক্রবারের বিবৃতিতে এর বিলম্বের কারণও ব্যাখ্যা করেনি।


অক্টোবরের শুরুতে ইসলামাবাদ হঠাৎ করে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া সব বিদেশিকে স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য এক মাস সময় দেয়। যারা ১ নভেম্বরের সময়সীমার পরে অবস্থান করবে তাদের স্থানীয় অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের জন্য গ্রেপ্তার করা হবে এবং বহিষ্কার করা হবে বলেও জানায় তারা।

বুধবার পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকার বলেন, এই ঘোষণার পর থেকে আড়াই লাখেরও বেশি আফগান স্বেচ্ছায় দেশে ফিরেছেন।

আফগানিস্তানের তালিবান সরকার নির্বাসন পরিকল্পনার নিন্দা করে ইসলামাবাদকে এটি পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছে। জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অধিকার গোষ্ঠীগুলোও আফগানদের বলপূর্বক বহিষ্কারের সমালোচনা করে । তারা বলে এতে ঐ দারিদ্রপীড়িত দেশে মানবিক সংকট তৈরি হতে পারে এবং এ রকম আশংকাও রয়েছে যে এর ফলে ফিরে যাওয়া লোকগুলি তালিবান কর্তৃপক্ষের দূর্ব্যবহারের সম্মুখীন হতে পারে।

শুক্রবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আবারও আফগানদের আটক ও নির্বাসন অবিলম্বে বন্ধ করতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।


XS
SM
MD
LG