থাই প্রতিনিধিদলের প্রধান বলেছেন, থাই কর্মকর্তারা ইসরাইলের ওপর ফিলিস্তিনি জঙ্গি হামলায় যে ২২ জন থাই নাগরিককে জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস জিম্মি করে রেখেছে তাদের ভাগ্যে কি ঘটবে সে সম্পর্কে গত সপ্তাহে ইরানে হামাসের সঙ্গে তারা সরাসরি আলোচনা করেছেন।
আরিপেন উত্তরাসিন বুধবার ব্যাংককে সংবাদদাতাদের জানিয়েছেন, আলোচকরা ২৬ অক্টোবর তেহরানে জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় যে, “সঠিক সময়ে” থাই নাগরিকদের মুক্তি দেওয়া হবে।
ইসরাইলী কর্তৃপক্ষ বলছে, গাজা ভূখণ্ড থেকে জঙ্গি দল হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলায় ১৪০০ লোক নিহত হয় যাদের বেশীরভাগ অসামরিক মানুষ লোক । তা ছাড়া হামাস ২৩০ জনেরও বেশি লোককে জিম্মি করে।
ঐ হামলার জবাবে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী গাজায় আক্রমণ চালিয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গাজার ৮ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
থাই পার্লামেন্টের স্পিকারের নিযুক্ত তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আরিপেন। তিনি বলেন, তারা ইরানে হামাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুই ঘণ্টা বৈঠক করেছেন।
তিনি বলেন, “তারা নির্দোষ বলেই আমি তাদের মুক্তি দিতে বলেছি।”
"তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছিল যে তারা তাদের ভালভাবে যত্ন নিচ্ছে কিন্তু তারা আমাকে তাদের মুক্তির তারিখ বলতে পারেনি ... তারা সঠিক সময়ের অপেক্ষা করছিল।”
তিনি বলেন, আলোচনার পর থাইল্যান্ডের প্রতিনিধিদলের সকল মুসলমান সদস্য হামাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নামাজ পড়েন।
আরিপান বলেন, “তারা থাইল্যান্ডকে সম্মান করে কারণ তারা জানে যে থাইল্যান্ড মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি সদয় ও তাদের সুবিধা দেয়... তারা আমাদের উদ্বেগ বুঝতে পেরেছে।”
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন বলেছেন, তার সরকার জিম্মিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে কঠোর পরিশ্রম করছে এবং এ সপ্তাহে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাতার ও মিশরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।