অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

এআই-র কারণে সৃষ্ট হুমকির বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সুরক্ষার জন্য চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র


ওপেন এআই-এর লোগো। ২১ মার্চ, ২০২৩। ফাইল ছবি।
ওপেন এআই-এর লোগো। ২১ মার্চ, ২০২৩। ফাইল ছবি।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে সৃষ্ট বিপদ থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য নেতাদের নৈতিক এবং সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে। তিনি বিশ্বব্যাপী এআই রোডম্যাপের জন্য জন্য বাইডেন প্রশাসনের চাপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

বিশ্লেষকরা ঐ প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, এই প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করার জন্য মানুষের তত্ত্বাবধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এআই সামরিক বুদ্ধিমত্তা বা চিকিৎসা থেকে শিল্পক্ষেত্র পর্যন্ত সবকিছুতে প্রয়োগ রয়েছে।

হ্যারিস সরকারের এআই সেফটি ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠার ঘোষণাও দিয়েছেন। তিনি সরকারের এআই ব্যবহারের বিষয়ে খসড়া নীতি নির্দেশিকা এবং এর দায়িত্বশীল সামরিক প্রয়োগের ঘোষণা প্রকাশ করেছেন।

এআই বিপুল পরিমাণে অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। যেমন, বুধবার প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ঘোষণা করেছে, তাদের এআই সক্ষম সামরিক গোয়েন্দা ডেটাবেস শীঘ্রই “প্রাথমিক অপারেশনাল সক্ষমতা” অর্জন করবে।

অন্য যেকোনো টুলের মতো এআই এর ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যের ওপর নির্ভর করে। এবং এটি মানুষকে প্রতারণা, ভুল তথ্য বা আঘাত করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। বিলিওনিয়ার টেক উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক লন্ডন সম্মেলনের ফাঁকে জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি এআইকে সমাজের সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখেন।

এই বছরের শুরুর দিকে মাস্ক ৩৩ হাজার জনের বেশি স্বাক্ষরিত একটি খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। চিঠিতে এআই ল্যাবগুলোকে “অবিলম্বে কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য জিপিটি ফোর-এর চেয়ে শক্তিশালী এআই সিস্টেমের প্রশিক্ষণ বন্ধ করার” আহ্বান জানানো হয়েছিল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সরকারি এবং প্রযুক্তি কর্মকর্তাদের সকল সমস্যার একই সমাধানের প্রয়োজন নেই, বরং মূল্যবোধের সমন্বয় এবং মানুষের তত্ত্বাবধান এবং নৈতিক কার্যক্রমের প্রয়োজন।

XS
SM
MD
LG