ক্যান্সার মানেই মৃত্যু, এমন ধারণাই বেশিরভাগ মানুষের। ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ এন্ড ক্যান্সার-এর তথ্য বলছে, বিশ্বে সকল ধরণের ক্যান্সারের মধ্যে ব্রেস্ট বা স্তন ক্যান্সারেই নারীরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রাথমিকভাবে কোন ধরণের লক্ষণ ছাড়াই এই ক্যান্সার নারীর শরীরের বাসা বাঁধে এবং অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ে। গবেষণায় দেখা যায়, স্তন ক্যান্সার হয়েছে এমন অর্ধেক নারীর ক্ষেত্রেই কোন রিস্ক ফ্যাক্টর ছিলোনা, অর্থাৎ একজন নারী যেকোন বয়সে যেকোন সময় স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন। ক্যান্সার যদি শরীরে ছড়িয়ে পড়া শুরু করে, সেক্ষেত্রে এটি মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেক বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে যদি ক্যান্সার সনাক্ত করা যায়, তবে চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থতার সাফল্যের হার ১০০%। আর তাই ঘরোয়া পরীক্ষার মাধ্যমে স্তন ক্যান্সার পরীক্ষার কোন বিকল্প নেই। প্রতিমাসে একবার স্তন নিজ হাতে পরীক্ষার মাধ্যমেই এই রোগের বিস্তার রুখে দেয়া সম্ভব। সেজন্য প্রয়োজন ব্যাপক সচেতনতার।
কোনপ্রকার রিস্ক ফ্যাক্টর ছাড়াই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন, এমন নারীদের একজন সাহারা ইসলাম সিমু। মাত্র ২৮ বছর বয়সে তিনি স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। ঘরোয়া পরীক্ষায় সন্দেহ হওয়ায় ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পর তার জটিল ক্যান্সারের ধরণ সম্পর্কে নিশ্চিত হন। ক্যান্সার মানেই মৃত্যু, এমন চিন্তা আর ভয় প্রথমে তাকে ঘিরে ধরলেও চার বছরের মেয়েটার দিকে তাকিয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এরপর টানা চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় দেড় বছর পার করার পর তিনি জানতে পারেন, তার শরীর ক্যান্সার মুক্ত। এখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ ও সুখী জীবন যাপন করছেন। সিমু মনে করেন, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইটা শেষ পর্যন্ত করে যাওয়াই তার জীবনের ‘বেস্ট ডিসিশন’ ছিল। স্তন ক্যান্সার সচেতনতার মাস উপলক্ষ্যে তার ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অভিজ্ঞতা তিনি শেয়ার করেছেন ভয়েস অফ আমেরিকার সাথে। ভিডিওটি তৈরী করেছেন মারজানা সাফাত।