ইরান শনিবার জানিয়েছে, এখনো হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে ইসরাইলের যুদ্ধ পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি প্রতিহত করা সম্ভব। তবে দেশটি সতর্ক করে, এ ধরনের উদ্যোগের সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ান এই বক্তব্য দেন। ঠিক এক সপ্তাহ আগে শত শত সশস্ত্র হামাস যোদ্ধা গাজা থেকে ইসরাইলে অনুপ্রবেশ করে অন্তত ১ হাজার ৩০০ মানুষকে হত্যা করে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক।
এরপর থেকেই ইসরাইল গাজায় হামাসের নানা লক্ষ্যবস্তুতে বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই প্রতিশোধমূলক হামলায় ২ হাজার ২০০-র বেশি মানুষ মারা গেছে।
বাগদাদ ও দামেস্কে যাত্রাবিরতির পর বৈরুতে আয়োজিত এক সংবাদসম্মেলনে আমিরাবদোল্লাহিয়ান বলেন, ‘এখনও এ অঞ্চলে সংকটের বিস্তার ঠেকানোর রাজনৈতিক সুযোগ রয়েছে।’
তবে, “হয়তোবা আগামী কয়েক ঘণ্টা পরই বেশি দেরি হয়ে যাবে”, বলেন তিনি। তিনি সতর্ক করেন, ইরানপন্থী জঙ্গিরা “সব ধরনের পরিস্থিতি যাচাই করেছে এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছে। গুলি ছোড়ার জন্য তাদের আঙ্গুল বন্দুকের ট্রিগারেই রয়েছে।”
যদিও দীর্ঘদিন ধরে তেহরান গাজার শাসক হামাসকে সমর্থন দিয়েছে—আর্থিক ও সামরিক, তবু ইরান এই গোষ্ঠীর ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গত কয়েকদিন দামেস্ক ও বাগদাদে যাত্রাবিরতি নেওয়ার সময় আমিরাবদোল্লাহিয়ান মত দেন, ইসরাইল বনাম হামাস যুদ্ধের মাত্রা আগামীতে আরও বাড়তে পারে এবং এতে ইরানের আঞ্চলিক মিত্ররাও যুক্ত হয়ে যেতে পারে।
রবিবার থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিদিনই ইসরাইল লেবাননে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ ও তাদের মিত্র হিসেবে কার্যরত ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর সঙ্গে হামলা-পালটা হামলা চালিয়েছে। তবে এ ধরনের আক্রমণের সংখ্যা সীমিত ছিল।
সোমবার হিজবুল্লাহ জানায়, ফিলিস্তিনি জঙ্গিরা সীমান্ত পার হতে গেলে দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইলের হামলায় তাদের ৩ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন।