অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ফিলিস্তিনি-আমেরিকানরা গাজায় তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে উদবিগ্ন


যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ (১৩ অক্টোবর, ২০২৩)
যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ (১৩ অক্টোবর, ২০২৩)

অনেক ফিলিস্তিনি আমেরিকান অসহায়ত্ব ও নিরাশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, কারণ তারা অনেক কষ্ট করেও গাজায় বসবাসরত আপনজনদের কোনো সংবাদ পাচ্ছেন না। গাজায় জ্বালানি ও পানি স্বল্পতা রয়েছে। একেবারেই নেই কোনো বিদ্যুৎ। এ ছাড়া, গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের জোর করে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে গাজায় বেসামরিক ব্যক্তিদের জন্য ত্রাণ ব্যবস্থাপনা ও পাঠানো প্রায় অসম্ভবের পর্যায়ে চলে গেছে।

ইসরাইল বেশ কয়েকদিন ধরে গাজায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। গত সপ্তাহান্তে হামাসের হামলায় ১ হাজার ৩০০ ইসরাইলি নাগরিক নিহতের প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চলছে এবং একইসঙ্গে স্থল হামলার হুমকিও দিয়েছে দেশটি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক শনিবার জানায়, এই যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় গত বেশ কয়েকদিনে ১ হাজার ৯০০ এর চেয়েও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৭২৪ শিশু ও ৪৫৮ নারী রয়েছে। এই মানবিক সংকটের মাঝে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

তবে এ সপ্তাহের আগেও ফিলিস্তিনি আমেরিকানদের জন্য গাজায় গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করার বিষয়টি ছিল দীর্ঘ, ক্লান্তিকর ও জটিল। গাজার বেশিরভাগ বাসিন্দা কখনোই এই অঞ্চল ছেড়ে যেতে পারেন না।

মাত্র ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ গাজা উপত্যকায় প্রায় ২৩ লাখ মানুষের বসবাস। এ অঞ্চলটি এখন কার্যত অন্ধকারে ডুবে আছে। ইসরাইল একে অবরুদ্ধ করে রাখায় সেখানে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো আগের চেয়েও অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। যার ফলে, গাজায় যাদের পরিবারের সদস্যরা বসবাস করছেন, তাদের দূরে থেকে আপনজনদের সামান্য নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সংগ্রাম করতে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার থাকছে না। তারা নিজেদের একেবারেই অসহায় ভাবছেন।

অসংখ্য ফিলিস্তিনি আমেরিকানের গল্পটা তাদের না পূরণ হওয়া আকাঙ্ক্ষা, ক্ষতি ও ইতিহাস মুছে যেতে দেখার গল্প। ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর শরণার্থীতে পরিণত হওয়ার ইতিহাস খুব বেশিদিন আগের নয়। ১৯৪৮ সালের যুদ্ধে ইসরাইল রাষ্ট্র গঠনের পর সেখান থেকে গণহারে ফিলিস্তিনি গাজায় চলে আসার কারণে এ অঞ্চলের জনসংখ্যা এতো বেশি।

XS
SM
MD
LG