শনিবার রেড ক্রস বলেছে, হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট মানবিক দুর্দশায় তারা “মর্মাহত”। তাদের স্বেচ্ছাসেবকরা যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের পরিত্যাগ করবে না বলেও জানায় তারা।
তাদের এক বিবৃতিতে, উভয় পক্ষকেই আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলা, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং মানবিক সংস্থাগুলোকে ক্রমবর্ধমান দুর্ভোগ লাঘব করার সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
ইসরাইলের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলার এক সপ্তাহ পর হামাসের বিরুদ্ধে স্থল আক্রমণের পরিকল্পনা করে তারা। এর আগে উত্তর গাজা উপত্যকা খালি করার জন্য ইসরাইল সতর্কবার্তা জারি করে। এর পর শনিবার হাজার হাজার ফিলিস্তিনি আশ্রয় চাইতে শুরু করে।
রেড ক্রসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহের ইসরাইলে বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলায় ক্ষতির তুলনা হয় না যদিও, তবুও গাজায় এই অন্যায্য সীমাহীন ধ্বংসযজ্ঞও চালানোর কোন যৌক্তিকতা নেই।
তারা বলেন, “গাজা থেকে সরে যাবার আহ্বানে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা সেখান থেকে সরে যেতে এবং যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। তাদের রক্ষা করতে হবে যাতে তারা অন্যদের রক্ষা করতে পারে”।
রেড ক্রস মুভমেন্টের উভয় শাখার প্রধান: আইএফআরসির জগন চাপাগাইন এবং আইসিআরসির রবার্ট মার্ডিনি এই যৌথ বিবৃতি জারি করেছেন।
হামাস জঙ্গিরা ইসরাইলের ওপর হামলায় ১,৩০০ জনেরও বেশি লোককে হত্যা করে। এর প্রতিশোধ নিতে ইসলামী গোষ্ঠীটিকে লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমা হামলা শুরু করে ইসরাইল , যার কারণে গাজায় ২২০০-রও বেশি লোক নিহত হয়।
অবরুদ্ধ গাজায় যদি তীব্র লড়াই শুরু হয় তবে সেখানে বেসামরিক নাগরিকদের ভাগ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
রেড ক্রস প্রধানরা বলেন, সব দিক থেকেই মানুষের দুর্ভোগ “বিধ্বংসী” এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনে “ব্যথা ও দুর্ভোগের কোনো শ্রেনীবিন্যাস হয় না।”
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।