হামাসের ব্যাপক হামলার পর ইসরাইল যুদ্ধ ঘোষণা করে। এর ফলে প্রধান এয়ারলাইন্সগুলো ইসরাইলের ভেতরে এবং বাইরে ফ্লাইট স্থগিত করেছে।
ইসরাইল গাজায় এক হাজারের বেশি স্থাপনায় আঘাত করেছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি জঙ্গিরা জেরুজালেম এবং তেল আবিবে রকেট নিক্ষেপ করেছে। অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিওতে বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি টার্মিনালে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়।
বিমানবন্দরের অনলাইন ফ্লাইট বোর্ড অনুসারে, তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আগমন এবং প্রস্থানকারী ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বিত হয়েছে।
আমেরিকান এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স এবং ডেল্টা এয়ার লাইন্স পরিষেবা স্থগিত করেছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রক সন্ত্রাসবাদ এবং অস্থিতিশীল অবস্থার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে এই অঞ্চলে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে।
সহিংসতার কারণে ইউরোপ এবং এশিয়ার এয়ারলাইন্সগুলো তাদের ফ্লাইট স্থগিত করেছে। তারা যাত্রীদের রিফান্ড অফার করছে এবং রিবুকিং ফি মওকুফ করছে।
এয়ার ফ্রান্স বলেছে, তারা ফরাসি এবং ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে “পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না দেয়া পর্যন্ত” তেল আবিবের পরিষেবা স্থগিত করেছে।
হংকং-এর প্রধান বিমান সংস্থা ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারওয়েজ বলেছে, "ইসরাইলের সর্বসাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে" তারা মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবারের জন্য তাদের নির্ধারিত তেল আবিব ফ্লাইট বাতিল করছে।
ইউকে ডিস্কাউন্ট ক্যারিয়ার ইজিজেট বলেছে, “ইসরাইলের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কারণে ”এটি লন্ডনের লুটন এবং ম্যানচেস্টার বিমানবন্দর থেকে তেল আবিবে তাদের ফ্লাইটগুলোর "কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করার" সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ বলেছে, "সামনের দিনগুলোতে সামঞ্জস্য করে সময়সূচীর প্রেক্ষিতে" তারা ইসরাইলে ফ্লাইট পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।