রবিবার ১ অক্টোবর হিন্দু ধর্ম নিয়ে নিবন্ধ লিখেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ‘সত্যম-শিবম-সুন্দরম’ শীর্ষক সেই নিবন্ধে কংগ্রেস নেতা লিখেছেন, "যিনি নির্ভয়ে সত্যের পথে অবিচল থাকতে পারেন, তিনিই প্রকৃত হিন্দু।" হিন্দু ধর্ম নিয়ে রাহুলের আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সোমবার ২ অক্টোবরও আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
অন্যদিকে সোমবার ২ অক্টোবর রাহুল পৌঁছেছিলেন ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসরে। সেখানে শিখ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মস্থান স্বর্ণমন্দিরে আরাধনা করার পর করসেবা বা স্বেচ্ছাশ্রম দান করেন তিনি। শিখ ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে তিনিও থালাবাসন মাজেন।
ভারতের দক্ষিণের ওয়ানাডের কংগ্রেস সাংসদ দিনটা অমৃতসরেই কাটাবেন বলে সামাজিক মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেল (পূর্বের ট্যুইটার)-এ জানিয়েছেন পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অমরিন্দর সিং রাজা ওয়ারিং। তিনি কংগ্রেস কর্মীদের বলেছেন, "রাহুল আধ্যাত্মিক সফরে এসেছেন। ওকে একা সময় কাটাতে দিন।"
এদিকে দু’দিন আগেই পাঞ্জাবের আপ সরকার কংগ্রেস বিধায়ক সুখপাল সিং খাইরাকে গ্রেফতার করেছে মাদক ও বেআইনি পথে অর্থ লেনদেনের অভিযোগে। ওই বিধায়কের অভিযোগ, তাকে খুন করতে পারে আপ সরকার। কিন্তু রাহুল এই বিষয়ে একটি কথাও সোমবার বলেননি। তাতে কংগ্রেসের একাংশ ক্ষুব্ধ। সেই কারণেই রাহুলের সফরের উদ্দেশ্য নিয়ে এক্স হ্যান্ডেল (পূর্বের ট্যুইটার)-এ ব্যাখ্যা দিয়েছেন পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
অন্যদিকে তার সফর নিয়ে রাজনীতি টেনে এনেছে অকালি দল। দলের নেত্রী প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হসসিমরত কৌর বাদল রাহুলকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন স্বর্ণ মন্দিরে সেনা অভিযান এবং তার ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধী নিহত হওয়ার পর দিল্লি ও আশাপাশে কংগ্রেসের শিখ বিরোধী দাঙ্গার কথা।
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে স্বর্ণ মন্দিরে সেনা অভিযান করিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। স্বর্ণমন্দির তখন ছিল খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি নেতা ভিন্দ্রাওয়ালের দখলে। শিখ ধর্মীয় স্থানটি জঙ্গি মুক্ত করতে সেনার ‘অপারেশন ব্লুস্টার’ নামে অভিযানে এক-দেড়দিনে প্রায় ৪০০ জন নিহত হন।
ওই ঘটনার ফল স্বরূপ ইন্দিরা গান্ধীর দুই ব্যক্তিগত শিখ দেহরক্ষী তাকে গুলি করে হত্যা করেন। সেই ঘটনার প্রতিবাদে আবার ভারতের রাজধানী দিল্লিতে প্রায় সাত দিন ধরে চলে শিখ নিধন যজ্ঞ। কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা শিখ মহল্লায় গিয়ে হত্যালীলা চালান। অকালি নেত্রীর কথায়, "রাহুলের উচিৎ ঠাকুমা ও দলের অপকর্মের জন্য ক্ষমা চাওয়া।"