ভারতের উত্তর প্রদেশে গত এপ্রিল মাসে গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদ ও তার ভাইকে পুলিশের ঘেরাটোপে গুলি করে খুন করে আততায়ীরা। আতিকের মৃত্যুর পর দীর্ঘ সময় আলোড়ন চলেছিল ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ অভিযোগ তুলেছিল, আতিককে এনকাউন্টার করেছে উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ। বিষয়টি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সোমবার ২ অক্টোবর উত্তর প্রদেশ সরকার ভারতের শীর্ষ আদালতে জানায়, আতিক ও তার ভাইকে এনকাউন্টার করা হয়নি।
২০১৭ সাল থেকে বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশে যেসব এনকাউন্টার হয়েছে, সব মিলিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছিল। সেই তালিকায় যেমন ছিল গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের হত্যা, তেমনই ছিল আতিকের মৃত্যু। এদিন আদালতে উত্তর প্রদেশ সরকার, আতিক ও তার ভাই আশরফ আহমেদের খুনের তদন্তের বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেয়।
সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মামলাকারী তার মামলায় যে সাতটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছে, সব ক'টির ক্ষেত্রেই কোনও না কোনও আদালতের নির্দেশে রাজ্য তদন্ত চালাচ্ছে। কিন্তু কোনও তদন্তেই এখনও পর্যন্ত পুলিশের কোনও দোষ পাওয়া যায়নি। সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা হলফনামায় উত্তর প্রদেশ সরকার জানিয়েছে, সমস্ত নিয়ম মেনেই তদন্ত করা হচ্ছে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ১৫ এপ্রিল পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যেই খুন হয়ে যান গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফ। উমেশ পাল অপহরণ মামলায় জেলবন্দি ছিলেন আতিক। জেল থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে প্রকাশ্যে খুন হন তারা। এই ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করে যোগী পুলিশ। তারা জানিয়েছিল, সাংবাদিক সেজে এসে দুষ্কৃতীরা গুলি করে আতিকদের। এই ঘটনার সঙ্গে পুলিশের কোনও যোগ নেই। সোমবার শীর্ষ আদালতে সেই কথাই আবারও জানাল উত্তর প্রদেশ সরকার।