গত কয়েক মাস ধরেই শিশু মৃত্যুর ঘটনায় খবরের শিরোনামে আছে ভারতের মহারাষ্ট্রের নান্দেড়ের সরকারি হাসপাতাল। গত তিন মাসে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু মৃত্যুর পরিসংখ্যান আশঙ্কা ছড়িয়েছে। নতুন করে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় এবার প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে। জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ রবিবার থেকে সোমবারের মধ্যে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। তাদের মধ্যে ১২ জন সদ্যোজাত।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই মৃত্যুর খবর স্বীকার করে নিয়েছে। তাদের কথায়, এই হাসপাতালে যেসব রোগী আসেন, তাদের মধ্যে অধিকাংশকেই সাপে কেটেছে। কিন্তু হাসপাতালে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী ও ওষুধ না থাকার কারণে চোখের সামনেই অনেক রোগীর মৃত্যু হচ্ছে।
সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, মহারাষ্ট্রের নান্দেড় জেলায় একটিই মাত্র সরকারি হাসপাতাল। অনেক রোগের চিকিৎসা হয় এই হাসপাতালে। নান্দেড় জেলার দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন আসেন চিকিৎসা করাতে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরেই এই হাসপাতালে বাড়ছিল রোগীর সংখ্যা। সেই চাপে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। হাসপাতালে রোগীর তুলনায় স্বাস্থ্যকর্মী কম, ওষুধের সরবরাহ নেই।
হাসপাতাল সূত্রে আরও খবর, এই ঘাটতির মধ্যেই অনেক স্বাস্থ্যকর্মীকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয়েছে। তাদের জায়গায় কাউকেই পাঠানো হয়নি। কর্মীর অভাবে ধুঁকছে এই সরকারি হাসপাতাল।
সরকারি হাসপাতালে রোগীমৃত্যুর এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের বিজেপি-জোট সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলছে বিরোধীরা। এনসিপি-র মুখপাত্র বিকাশ লাওয়ান্দে বলেছেন, "এতজনের মৃত্যু শুধু হাসপাতালে ওষুধের ঘাটতির কারণে হয়নি। এর জন্য দায়ী সরকারের উদাসীনতা। অনুষ্ঠান-উৎসবের বিজ্ঞাপনে দেখতে পাওয়া সরকারকে ধিক্কার!"