অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

লেবাননে আমেরিকান দূতাবাসে নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রতি গুলিছোঁড়া ছিল ক্ষোভ প্রসূত 


লেবাননের বৈরুতে আমেরিকান দূতাবাসের প্রবেশপথের পাশে ২১ সেপ্টেম্বর লেবাননের সেনাবাহিনীর তদন্তকারীরা গুলির গর্তগুলো দেখে ফরেনসিক প্রমাণ সংগ্রহ করেন।
লেবাননের বৈরুতে আমেরিকান দূতাবাসের প্রবেশপথের পাশে ২১ সেপ্টেম্বর লেবাননের সেনাবাহিনীর তদন্তকারীরা গুলির গর্তগুলো দেখে ফরেনসিক প্রমাণ সংগ্রহ করেন।

লেবাননের পুলিশ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, গত সপ্তাহে বৈরুতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের বাইরে যে খাদ্য সরবরাহকারী গাড়ির এক চালক গুলি চালিয়েছিল তা ছিল দূতাবাস প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রতি ব্যক্তিগত বিদ্বেষ প্রসূত।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার তারা সন্দেহভাজনকে আটক করেছে। ঐ ব্যক্তিকে তার নামে শুধু আদ্যক্ষর এম.কে দিয়ে সনাক্ত করে এবং পরে সে গুলি চালানোর কথা স্বীকার করেছে।

তারা ঐ ব্যক্তির স্বীকারোক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে দুই মাস আগে যখন তিনি খাবার ডেলিভারি করার জন্য সেখানে যান তখন রক্ষীরা তাকে অপমান করায় তিনি অত্যন্ত বিমর্ষ হয়েছিলেন। তবে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিরপেক্ষ ভাবে এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

ঐ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। বৈরুতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খ্রিস্টান অধ্যুষিত শহরতলি আউকারে দূতাবাসের প্রবেশ পথের পাশের দেয়ালে অন্তত পাঁচটি গুলি গর্ত সৃষ্টি করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের সময় নিরাপত্তা বাহিনী একটি একে-৪৭, একটি ছুরি এবং সন্দেহভাজনের খাদ্য সরবরাহ করার মোটরসাইকেল জব্দ করেছে। রাইফেলটি একটি খাবার ডেলিভারি করার ব্যাগে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল এবং চালক লেবাননের সেনাবাহিনীর চেকপয়েন্ট এড়াতে মেইন রাস্তায় না গিয়ে অন্য পথে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস চত্বরে পৌঁছায়।

লেবাননে আমেরিকানদের ওপর হামলার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৮৩ সালের অক্টোবর মাসে বৈরুত বিমানবন্দরে আমেরিকান মেরিন ব্যারাকের একটি আত্মঘাতী ট্রাক বোমা হামলাকারী চারতলা ভবনের ভেতরে ট্রাক চালিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। ঐ ঘটনায় ২৪১ জন আমেরিকান সেনা প্রাণ হারায়।

XS
SM
MD
LG